ছেলেটা কাউকে খুন করে নাই।
ব্যাংকের টাকা লুট করে নাই।
চাঁদাবাজি করে নাই।
মিথ্যা তথ্য দেয় নাই।
কারো ভাগেরটা লুটেপুটে খায় নাই।
হুম দোষ করেছে.....
ভুল ইংরেজি বলেছে।
নাগরিক টিভির নিউজ টিমটি অন্য টিভিগুলায় তুলনায় ছোট। টানা দেড়মাস বিপিএল একাই কাভার করেছে। অনেক সাইড স্টোরি করেছে।
শেষ দিন বিদেশি খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার নেয়ার কোন এসাইনমেন্ট ছিল না। নিজ থেকেই করেছে। নিজেই এডিট করে অনলাইনে দিয়েছে। টিভিতে প্রচার হয় নাই। প্রশ্ন অংশটি বাদ দিলেই ল্যাটা চুকে যেতো।
ওর শুধু একা নয়, টিমের কিছু সদস্যের দায় তো আছেই। হেড অব নিউজ হিসেবে আমার দায়ও আছে।
নাগরিক টিভির অগণিত দর্শকের কাছে আমি এজন্য ক্ষমা চাইছি।
তরুন এই রিপোর্টার নিজেও ভুল বুঝতে পেরেছেন। নিশ্চয়ই আগামীতে এমনটা করবেন না। বেসিক ইংরেজি শিখেই আবার সঠিকভাবে প্রশ্ন করবেন। আবার নিশ্চয়ই প্রচার হবে। মানুষ বাহবা দেবেন। আমি আশাবাদী।
কিন্তু এমন ভাবে কেউ কেউ ধোয়া শুরু করলেন যে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। জাত মারা গেল। দেশ বিক্রি হয়ে গেল। ব্যাংকের সব টাকা লুট হয়ে গেল। দেশ ডুবে গেল।
কিন্তু ইংরেজি না জানা অনেক কুতুব সাংবাদিককে আমি চিনি। যারা কাপড় মাথায় তুলে নেমেছেন তাদের বস বা গুরুরা আছেন যাদের নাম আছে এই তালিকায়। অনেক বড় সাংবাদিক আছেন, যারা ইংরেজি জানেন না বলে প্রশ্ন করেন না।
ছেলেটা বয়সে ছোট। ক্যারিয়ার অল্প দিনের। ভুল করেছে। কিন্তু কারো বারা ভাতে তো ছাই ঢালে নাই। শুধু যদি সমালোচনাই করি, তাহলে ও শিখবে কোথায়?
চারিদিকে কতবড় পুকুর চুরি ঘটছে! অনিয়মের পাহাড়ে বসে সবক দেয়ার কি চেষ্টা আমাদের! আপনার নিজের অফিসেই কত মাস বেতন হয় না। বোনাস হয় না! বেতন বাড়ে না কত বছর! আগে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন।
নাগরিক টিভিতে নিয়মিত বেতন হয়। প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুয়েটি আছে। ইনক্রিমেন্ট হয়। ভালো প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার ও ফেলোশিপের পাল্লা কম ভারী নয়।
ক্ষমার অযোগ্য দোষ বা ভুল করে নাই তরুন এই রিপোর্টার। সম্পাদক হিসেবে ওকে আগলে রাখার দায় আমারও আছে।
(লেখাটি নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেওয়া)