#অন্য দেশের নির্বাচনেও আমাদের পর্যবেক্ষক দল পাঠানো উচিত: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। #আমাদের নির্বাচনে মোড়লদের নগ্ন হস্তক্ষেপ মেনে নেবো না: কে এম লোকমান হোসেন।
প্রকাশ: রোববার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১১:৪৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে মার্কিন, ভারতীয় ও চীনা প্রতিনিধিদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। এই বিষয়টায় প্রমাণ করে যে রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের গুরুত্ব আগের থেকে অনেক বেড়েছে। অন্যান্য দেশের পর্যবেক্ষকরা যদি আমাদের দেশের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে তাহলে আমরা কেন পারবো না? আমরা এখন পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে আছি এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের কাতারে চলে যাচ্ছি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯৮৩তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি, ইতালি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আজকের ভোরের পাতা সংলাপের বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে মার্কিন, ভারতীয় ও চীনা প্রতিনিধিদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। এই বিষয়টায় প্রমাণ করে যে রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের গুরুত্ব আগের থেকে অনেক বেড়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন ভিসনারি মানুষ এবং সেই জন্য তিনি এই বিষয়টিকে অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। এখন তারই কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারই পররাষ্ট্র নীতি মেনে তা অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করছেন। এখন বিদেশীরা যেমন আমাদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রভাব বিস্তার করছে ঠিক তেমনি আমরাও অন্য দেশের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছি। ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো জানিপপ একটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা তাদের স্পষ্ট করে বলেছি যে, আমরা যেহেতু আমাদের দেশের নির্বাচনে আপনাদের পর্যবেক্ষক করার সুযোগ দেই ঠিক তেমনি আপনাদেরও উচিত আমাদেরও আপনাদের দেশের এই বিষয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া। শেষ পর্যন্ত আমাদের যুক্তি জয়লাভ করেছে এবং আমরা একাধিকবার ব্রিটেনের নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পেয়েছি। তেমনিভাবে আমরা মার্কিন ও ডেনমার্কের নির্বাচনও পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পেয়েছি। এখন উচিত আরও অন্যান্য দেশেও আমাদের এই পর্যবেক্ষক টীম পাঠানো।
কে এম লোকমান হোসেন বলেন, “গরীবের বউ সবার ভাবী”- এই উপাধিটা আগে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল কিন্তু এখন এই চিত্রটা পাল্টে গিয়েছে। কিছু দেশ ছিল তারা তাদের পেটি মোড়ল দিয়ে আমাদের দেশের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করতো কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। আসলে নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ দল পাঠানো একটা রীতি হয়ে গিয়েছে। তারা মূলত নির্বাচনের আগে তাদের মোড়লদের পাঠিয়ে তাদের ইচ্ছামত মতামত দেওয়ার চেষ্টা করে। আজকে জানিপপ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে, আমরাও পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আমাদের পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়ে তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার যোগ্যতা পেয়েছে। অন্যান্য দেশের পর্যবেক্ষকরা যদি আমাদের দেশের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে তাহলে আমরা কেন পারবো না? আমরা এখন পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে আছি এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের কাতারে চলে যাচ্ছি।
কর্মোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি সম্ভব
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়: রাষ্ট্রপতি
পাল্টাপাল্টি হামলা-মামলায় উত্তপ্ত পাবনা ১: আসামীরা ঘুরছে প্রকাশ্যে!
মহাসমাবেশ স্থগিত করলো হেফাজতে ইসলাম
বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
রিজার্ভে বাংলাদেশের উন্নতি
