মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: কর্মোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি সম্ভব   নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়: রাষ্ট্রপতি   নির্বাচনে ২১ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন ইসির   দেশজুড়ে যে তিনদিন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা!   মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি ৯ জানুয়ারি   প্রাথমিকের ছুটি বাড়ল ১৬ দিন (তালিকা)   নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
কাওলা-তেজগাঁও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: রোববার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ২:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

চার লেন বিশিষ্ট ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (ডিএই) কাওলা-তেজগাঁও অংশটি এখন দৃশ্যমান। চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের সামগ্রিক অগ্রগতি ৫৭ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস বলেছেন, ‘রাজধানীর আশেপাশে যানবাহন চলাচল সহজ করার লক্ষ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)-র আওতায় ৩১ র‌্যাম্প বিশিষ্ট বহুল প্রত্যাশিত চার লেনের ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, সরকার রাজধানীকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (কুতুবখালী) সঙ্গে যুক্ত করতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

প্রকল্প অনুযায়ী, ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই কোম্পানি লিমিটেড হচ্ছে বিনিয়োগকারী কোম্পানি। এতে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের ৫১ শতাংশ, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) ৩৪ শতাংশ এবং  সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এতে বলা হয়, প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।

প্রকল্প অনুযায়ী, এ প্রকল্পের ব্যাপারে ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর করা হয় এবং ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যালোচনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্প সমাপ্তির সময়কাল ধরা হয় ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার যার মধ্যে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার মূল এলিভেটেড অংশ। এটির র‌্যাম্প রয়েছে ৩১টি।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণ পাশ থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটারের প্রথম ধাপ কাওলার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

বনানী রেলওয়ে স্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসসিং পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের কাজ চলছে।

এদিকে বনানী-মহাখালী ডিওএইচএস এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নাখালপাড়া-তেজগাঁও অংশের কাজ শেষ হয়েছে বলে তিনি জানান।

আকতার বলেন, ‘আমরা মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুতুবখালী পর্যন্ত তৃতীয় ধাপের ৬ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু করেছি।’

বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওলা থেকে বনানী পর্যন্ত ফ্লাইওভারের প্রথম অংশের কাজ এখন প্রায় প্রস্তুত। এই অংশের প্রায় ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
ফ্লাইওভার পর্যন্ত র‌্যাম্প নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন কাওয়া থেকে বনানী পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়কের কার্পেটিং সম্পন্ন হলেই এটি যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। এরই মধ্যে রাস্তার বাতি বসানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। রাস্তার দুই পাশে রেলিং বসানোর কাজও চলছে। কয়েকদিনের মধ্যে কাওলা থেকে বনানী অংশ পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে।

এদিকে বনানী থেকে তেজগাঁও অংশ পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার ফ্লাইওভার সড়কের দ্বিতীয় অংশে কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রথম দফায় তেজগাঁও পর্যন্ত যানবাহন চলাচল চালু করা হবে।

বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প থেকে তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ তুলতে যানবাহন থেকে টোল আদায়ের জন্য পৃথক টোল প্লাজা স্থাপন করবে।

গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে বেশ কিছু অবকাঠামো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আয়তন, বাজেট এবং অর্থনৈতিক প্রভাব বিবেচনা করে এসব প্রকল্পের অনেকগুলোকে মেগা-প্রকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সরকার এসবের কয়েকটিকে ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে চিহিৃত করেছে। এর মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতু, বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প এমআরটি লাইন-৬ এবং চার লেন বিশিষ্ট চন্দ্র-এলেঙ্গা মহাসড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়া দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সরকার অবকাঠামোগত নতুন প্রকল্প ও চলমান প্রকল্পের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও দীর্ঘতম আন্ডারওয়াটার রোড টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণ কাজ শিগগিরই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন অনেক উন্নয়ন প্রকল্প প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে এবং এতে দেশের জিডিপি বাড়ছে।

অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি ১,২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়ে সেতু  দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাই সরকারের  এখন মূল ফোকাস হচ্ছে এসবের কাজ সময়মতো সম্পন্ন করা।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এইসব উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়। খবর: বাসস



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]