প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১১:৪৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাজু ভাস্কর্য আমাদের অহংকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের অহংকার ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ। এইরকম একজন কালজয়ী ব্যক্তির ভাস্কর্যের এইরকম একটি অবস্থার কারণে তার সম্মানের কোন সম্মানহানি হবে সেটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। বাংলাদেশে রয়ে যাওয়া পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা এই মাসে এসেও তারা তাদের সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯৮১তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
উৎপল দাস বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস আমাদের বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। বাংলাদেশে রয়ে যাওয়া পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা এই মাসে এসেও তারা তাদের সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছে। সর্বশেষ যে ঘটনা হয়েছে সেটা হলো, কিছু দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাশে রবীন্দ্রনাথের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করে এবং গতকাল সেটা গুম হয়ে গিয়েছিল এবং আজ ভাস্কর্যটির খণ্ডিত অংশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় কে বা কারা এই ঘৃণিত কাজটি করেছে সেটা এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। কারাই বা এটা এখানে বসালো আর কারাই এটা এখান থেকে সরালো? এইরকম একটি ঘটনা ঘটার পরও এখন পর্যন্ত আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে কোন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পায়নি। সেক্ষেত্রে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন ইন্ধন থাকতে পারে কিনা বলে অনেকেই মনে করছে।