বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: কর্মোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি সম্ভব   নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়: রাষ্ট্রপতি   নির্বাচনে ২১ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন ইসির   দেশজুড়ে যে তিনদিন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা!   মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি ৯ জানুয়ারি   প্রাথমিকের ছুটি বাড়ল ১৬ দিন (তালিকা)   নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
মিশ্র ফলের বাগানে বছরে লাখ টাকা আয় করছেন পারভেজ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:১২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ছিট চিলারং গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে পারভেজ খান। জেলার সদর উপজেলার বুড়িবাধ এলাকায় সাড়ে ৪ একর জমি দশ বছর লিজ নিয়ে শুরু করেছেন বাগান। পেয়ারা, কূল, পেঁপে, ডালিম ও সবেদাসহ অনেক ফলের বাগানে চমক সৃষ্টি করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে কয়েক দফায় বাগান থেকে আয় হয়েছে কয়েক লক্ষাধিক টাকা। সৃষ্টি হয়েছে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান। বাগান করার উদ্যোগ নিতে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক বেকার যুবক।  

পারভেজ বলেন, পড়াশোনা শেষ করে ইলেকট্রনিক ব্যবসা শুরু করি তার পর চলে আসে দেশে করোনা ভাইরাস। এতে আমার ব্যবসায় লকসান হয়। বেকার হয়ে পড়ি। পরিবারে চাহিদা মেটাতে পারতাম না। তার পর বুড়ির বাধে জমি লিজ নিয়ে শুরু করি পেয়ারা বাগান। বছর যেতে না যেতেই ফলনে ভরে যায় বাগান। আর আশানুরূপ দাম পেয়ে বদলে যায় ভাগ্য।

বাগান দেখতে আসা সদর উপজেলার নারগুন গ্রামের আশরাফুল আলম বলেন, অনেক দিন ধরে শুনেছি পারভেজ নামে একজন যুবক পেয়ারা, কুল, পেপেসহ মিশ্র বাগান করে সফল হয়ে বেকারত্ব দুর করেছেন। তাই বাগান দেখতে আসছি আমি পারভেজ ভাইর কাছে পরামর্শ নিয়ে আমার কিছু অনাবাদি জমি আছে সেখানে মিশ্রবাগান করতে চাই। 

বাগানে পেয়ারা কিনতে আসা পাইকার করিম হোসেন বলেন, আমি গত বছর থেকে এই বাগানে পেয়ারা কিনছি। অনেক বড় আর সুস্বাদু এই বাগানের পেয়ারা। জেলার বিভিন্ন জায়গায় যাই। আমি ২ হাজার ৫শ টাকা মন কিনে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করি। মন প্রতি আমার ৫শ টাকার মত লাভ হয়।

বাগানে কর্মরত শ্রমিক বর্মন বলেন, শুরু থেকেই এখানে কাজ করছি। গাছ দেখাশোনা করা, স্প্রে করা, ফল গাছ থেকে পারা সব কাজ করি। এখানটাকার শ্রেিমর বিনিময়ে যে টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চালাই। অন্যান্য ফসলের ক্ষেতের চেয়ে বাগানে কাজের চাহিদা তুলনামূলক কম। 

তরুণ উদ্যোক্তা ও বাগানের মালিক পারভেজ খান আরও বলেন, লিজকৃত জমিতে যদিও প্রথমে বিভিন্ন ফসল আবাদ করতাম, পরে পেয়ারা, বরই সহ আরো যে ফল গুলো রয়েছে সেগুলোর চারা রোপন করে সফলতা আসে। সেই সাথে বরই ও সাথী ফসলের আয় দিয়ে বাগানের সকল খরচ বহন করছি। সেই সাথে লক্ষাধিক টাকা আয়ও হচ্ছে। 

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডাঃ আব্দুল আজিজ বলেন, পারভেজের বাগানে অনেক ফলন এসেছে। আমাদের ওই এলাকার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়মিত বাগানে পরিদর্শনে যান। আমিও কয়েকবার তার বাগানে গিয়েছি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে যাবতীয় পরামর্শ ও সুবিধা প্রদান করা হবে। 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]