ঝালকাঠি সদর উপজেলার ১ নং গাভা রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তা নির্মাণে প্রতিবন্ধকতায় হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। মোট ১৪৭৫ মিটার রাস্তার মধ্যে ৭৫ মিটারে এই প্রকিতবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় দেড় বছর ধরে ঝুলে আছে রাস্তার কাজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ওপর দিয়ে কাঁচাবালিয়া থেকে গুদিঘাটা সড়কটি দিয়ে শতবছর ধরে মানুষের যাতায়াত। পূর্বেও এই সড়কে হেরিংবনের রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণ করে যাতায়াত ব্যবস্থা চলে আসছে। গত দু’বছর আগে রাস্তার টেন্ডার হয়। মোট ১৪৭৫ মিটার রাস্তার মধ্যে ১৪০০ মিটার কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু এরপর সরদার বাড়ি লোকজন রাস্তাটি কিছু অংশ নিজেদের দাবী করে রাস্তা নির্মাণে আপত্তি দেয়। ফলে আটকে যায় রাস্তার বাকি কাজ। আর এ কারণে আশপাশের তিনটি স্কুল, মাদ্রাসা, তিনটি কলেজ ও ইউনিয়ন পরিষদ, গুদিঘাটা বাজারসহ আশপাশের যোগাযোগে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় প্রবীণ মোতাহার মাঝি বলেন, শত বছর ধরে আমারা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছি। এখন পাকা রাস্তা নির্মাণ শুরু হওয়ার পর গ্রামের একটি মহল রাস্তার কিছু অংশ নিজেদের বলে দাবী করছে। কিন্তু এটা কোন ভাবেই সত্য নয়। রাস্তা যদি তাদের হয়, তবে কী ভাবে এ রাস্তা ২০ বছর পূর্বে থেকেই সরকারি ভাবে হেরিংবন কালর্ভাট হয়?
স্থানীয় কলেজ ছাত্র সোহেব হোসেন বলেন, প্রায় সবটাই রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। বাকি আছে অল্প কাজ। আর এই সামান্য কাজ আটকে থাকায় এই রাস্তা দিয়ে রিকশা ভ্যান চলতে পারছে না। ফলে মাইলের পরম মাইল পায়ে হেঁটে আমাদের স্কুল কলেজে যেতে হচ্ছে।
স্থানীয় সমাজ সেবক ও গুদিঘাটা বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি সাইদুল ইসলাম সবুজ বলেন, স্কুল-কলেজ, বাজারসহ ঝালকাঠি-বরিশালের সাথে হাজারো মানুষের যোগাযোগের কথা বিবেচনা করে এ রাস্তাটি পাশ করিয়ে দেন ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু। বর্তমানে কাজ বন্ধ থাকায় ভোগান্তির আর শেষ নেই।
কাজের ঠিকাদার মিলন খন্দকার বলেন, বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমঝোতার জন্যও আমারা গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়েও চেষ্টা করেছি। কিন্তু গ্রামের হানিফ সরদার ও জলিল সরদার, ধলু সরদার জনগুরুত্বপূর্ন এ সড়কটি যাতে নির্মাণ না হতে পারে তার জন্য এ হীন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে সরদার বাড়ির হানিফ সরদার বলেন, রাস্তাটির এক অংশ আমাদের রেকর্ডিও সম্পত্তি। বছরের পর বছর এলাকার লোকজন হাটতে হাটতে এটি রাস্তায় পরিনত হয়েছে। রাস্তার ওপারে খাল রয়েছে সেই খাল ভরাট করে রাস্তা নিলেই এই সমস্যার সমাধান হয়।
এ ব্যাপরে ১ নং গাভা রামচন্দ্র ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম শেরওয়ানী বলেন, রাস্তাটি অত্যান্ত জনগুরুত্বপূর্ন। শত বছর ধরেই এ রাস্তাটি দিয়ে মানুষের চলাচল। রাস্তাটির বাকি কাজ সম্পন্ন করা ব্যপারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।