প্রকাশ: বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১১:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমি শুরুতেই সবাইকে ফাল্গুনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যে জাতির ভাষা যত উন্নত সেই জাতি ততো বেশী উন্নত এবং সেই জাতির বিকাশ ততই সমৃদ্ধ হয়েছে। আমাদের বাংলা ভাষা পৃথিবীর ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা হওয়া সর্তেও সেভাবে বিকশিত হয়নি। এদেশের আলো বাতাসে বড় হয়ে এদেশের উন্নয়নকে যারা মেনে নিবেন না তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা টেক ফরোয়ার্ড বাংলাদেশের দিকে, স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে ধাবিত হচ্ছি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯৭৯তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত-তূর্য। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ইয়াসির আরাফাত-তূর্য বলেন, আমি শুরুতেই সবাইকে ফাল্গুনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যে জাতির ভাষা যত উন্নত সেই জাতি ততো বেশী উন্নত এবং সেই জাতির বিকাশ ততই সমৃদ্ধ হয়েছে। আমাদের বাংলা ভাষা পৃথিবীর ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা হওয়া সর্তেও সেভাবে বিকশিত হয়নি। যেমন আইসিটি বিষয়ক যেকোনো পড়াশুনা কিন্তু এখনো ইংরেজি ভাষায় করতে হয়। বিশেষ করে আমাদের আইন আদালতের ভাষাও কিন্তু ইংরেজিতে ব্যাবহার হচ্ছে। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী ছাত্র ও আন্দোলনকারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। ১৯৫২’র ভাষা শহীদদের সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। বর্তমানে ১৯৩টি দেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। জাতি হিসেবে একমাত্র বাঙালির এই ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছির বাঙালির এই অবদানকে স্বীকার করে তারা দিবসটি একুশে ফেব্রুয়ারিতে একযোগে পালন করে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা প্রবর্তিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১২ই মার্চ রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি অফিস-আদালত এর দাপ্তরিক কাজে বাংলা ভাষাকে প্রচলনে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করেন। শুধু ভাষার মাসে নয় সব সময় সর্বদা সকল কাজে আমরা বাংলা ভাষার ব্যবহার চাই।