প্রকাশ: বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৫৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালীর সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের গোপিবল্লভপুর গ্রােেমর গৃহবধূ নাজমুন নাহারকে (৩৫) হত্যার ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম (২৮) ও নিজাম উদ্দিন শান্ত (২৫) নামের দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছে চুরির উদ্দেশে ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে স্বর্ণালংকার লুট ও পরে জোরপূর্বক ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা করে তারা। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাÐে ব্যবহার করা ছোরা, এক জোড়া কানের দুল, এক জোড়া রূপার পায়ের নুপুর ও নিহত গৃহবধূর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চরনলুয়া গ্রামের মো. জাকের হোসেনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৮) ও একই গ্রামের মো. নুরউদ্দিন বিটুর ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন শান্ত (২৫)। গ্রেফতারকৃতরা পেশায় রিকশা চালক ও বন্ধু।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রæয়ারি) বিকেলে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে তারা চুরি, ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে দুই আসামি দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোসলেহ্ উদ্দিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম বুধবার (১৫ ফেব্রæয়ারী) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার জানান, ভিকটিমের স্বামী কবিরহাট উপজেলার রামেরশ্বরপুর গ্রামের একটি নার্সারিতে চাকরি করেন। সেই সুবাধে তিনি সেখানে থাকেন। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ভিকটিম রাতে বাড়িতে একা থাকার সুযোগে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার বসত ঘরের সিঁধ কেটে প্রবেশ করে। ভিকটিম বিষয়টি টের পেলে তারা গলায় ছুরি ধরে ভিকটিমের মোবাইল ফোন, স্বর্ণের এক জোড়া কানের দুল, একটি নাকের ফুল এবং রুপার এক জোড়া পায়ের নুপুর কেড়ে নেয়। এক পর্যায়ে তারা ভিকটিমকে জোরপূবর্ক ধর্ষণ করে। গৃহবধু তাদেরকে চিনে ফেলায় হাত-পা বেধে গলায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, পরের দিন ভোরে স্থানীয় লোকজন গুরুত্বর আহত অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী নুরুল আমিন সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে গত ১৯ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অস্থায় ভিকটিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। মামলাটি গত ৩০ ডিসেম্বর জেলা গোয়েন্দা শাখাতে তদন্তের জন্য হস্তান্তর হওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশ ক্লুলেস রহ্যসজনক হত্যার বিষয়টি উদঘাটনে মাঠে নামেন। গত সোমবার ১৩ ফেব্রæয়ারি তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নোয়াখালী ও কুমিল্লা থেকে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।