নরসিংদীর রায়পুরায় খরিদকৃত জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে এক বৃদ্ধা আহত হয়েছে। গত ১১ই ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ৯ টায় উপজেলার উত্তরবাখরনগর ইউনিয়নের উত্তর বাখরনগর হাই স্কুলে রাস্তায় নান্নু মিয়ার বাড়ির সামনে নারায়ণপুর বাজারে গরু কেনার জন্য বাড়ি থেকে যাওয়ার পথে আমাকে পথরোধ করিয়া আমার মাথায়,মুখে,ডানায়, কানে, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রড,বাঁশ দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারধর, কিলঘুষিতে জখম করে।
তাছাড়া আমার নিকট থেকে রক্ষিত ১ লক্ষ টাকা জোর পূর্বক ছিনতাইসহ এ ঘটনা ঘটায়।আহত বৃদ্ধ লোকটি হলো লোচনপুর গ্রামের মৃত আদম আলী (রশিদ)এর ছেলে মোবারক হোসেন (৫৪) বৃদ্ধ আহত রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রায়পুরা থানার পুলিশ। এঘটনায় অভিযুক্ত এলাকার মৃত তাজুল ইসলাম এর ছেলে সায়েদ মিয়া(৫৫)ও তার লোকদের বিরুদ্ধে।
আহত বৃদ্ধ মোবারক হোসেন জানান,বিগত ৮/৪/২০০৭ সালে তার আপন খালাআম্মা
পৈত্রিকসূত্রে মালিকপ্রাপ্ত জমি ফজিলা নেছার নিকট থেকে ২৫ শতাংশ এর কাত ৮.৫০ শতাংশ জমি খরিদ করেন। প্রতি বছরই খরিদকৃত জমি দখল না বুঝিয়ে বিভিন্ন বাহানায় তারা আমার জমি দখল বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গে সঠিক বিচার না মেনে বিগত ৩ মাস পূর্বে আনোয়ার হোসেনকে দিয়ে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা ফেরত দিয়ে আমি উল্টো দলিল করে দেওয়ার প্রস্তাব করে।আমি এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে প্রাণে মেরে ফেলাবে ও লাশ গুম করার হুমকি দেই।
বেশকিছু দিন পূর্বে উত্তরবাখরনগর বাজারে সায়েদ মিয়ার সাথে আমার খরিদকৃত জমি ফেরত দেওয়া ও নেওয়া নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়।
পরর্বতীতে রাতে সায়েদ মিয়া,হোসেন,শাহজাহান,আলামিন,বাচ্চু,মিজান,সাত্তারমিয়াসহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজন আমার বাড়িতে গিয়ে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি ও লাশ গুম করার প্রদর্শন করেন।
আহত বৃদ্ধ মোবারক হোসেন আরোও বলেন,আমি চিৎকার করিতে থাকলে আশেপাশে লোকজন আসতে থাকিলে তারা টের পেয়ে আসামীগণরা হুমকি দিয়ে যায়,এই ঘটনাটি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমাকে ও আমার পরিবার লোকজনদেরকে মেরে লাশ গুম করে ফেলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক জোবায়ের জানান, খরিদকৃত জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১জন বৃদ্ধ আহত হয়েছে। এ বিষয়ে রায়পুরা থানায় ভুক্তভোগী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সে প্রেক্ষিতে তদন্ত চলমান রয়েছে।