সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সাহাবুদ্দিন বলেন, রোববার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল। তিনি (শেখ হাসিনা) দলের পক্ষ থেকে বিচার বিশ্লেষণ করে আমাকে মনোনীত করেন বলে জানান। তার আগে আমাকে কিছু বলেননি। সিনিয়র নেতাদের কিছু বলেছিলেন কি না আমার জানা নেই। আমি আঁচ করতে পারিনি। আঁচ করার সুযোগও দেননি। আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতি হবো ‘টু বি ভেরি ফ্রাংক’ এটা ভাবতে পারিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে সংবিধানে বিধিবদ্ধ নিয়মের মধ্যে খুবই কম সুযোগ, সেখানে আছে- রাষ্ট্রীয় কোনো এক্সিকিউটিভ ওয়ার্কে হস্তক্ষেপ করা। রাষ্ট্রপতি একটা ঐক্যের প্রতীক এবং সেই ঐক্যের প্রতীক হিসেবে রাষ্ট্রপতি তার দায়িত্ব পালন করেন সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন যেন না হয়। কোনো রকম হস্তক্ষেপ যেন না হয়। প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনে যেন তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে, সেটা একজন রাষ্ট্রপতি দেখেন। বলতে গেলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচনে এখনো যারা বলছে- অংশগ্রহণ করবো না, তাদের তো কোনো অপশন নেই, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা ছাড়া। তারা যে কেয়ারটেকার সরকারের কথা বলছে, আমাদের সংবিধানে সেটা কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অলরেডি বাদ পড়ে গেছে। এখন সেই জায়গায় যাওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই। আমি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মনে করি যে, উই উইল হ্যাভ টু অ্যাপ্লাই কনস্টিটিউশন।
তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের কাছে সংবিধানের যে রূপ আছে সেই রূপ, সেই আঙ্গিকেই, সেখানে নির্বাচনের চ্যাপ্টারে যা বলা আছে ওইভাবে নির্বাচন হবে। জনগণ সরকারের মালিক, তাহলে কী করতে হবে, জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসতে হবে। একটি মাত্র জিনিস নিশ্চিত করতে হবে- সেটা হলো নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন শঙ্কামুক্ত নির্বাচন, অধিকসংখ্যক ভোটারদের উপস্থিতি, এগুলো নিশ্চিত করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা উইথইন দিস কনস্টিটিউশন।
দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় ছিল তাদের কেউ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। রোববার এই পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে হঠাৎ করেই জানা যায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনের নাম।