প্রকাশ: সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ২:১৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
গত কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহতম ভূমিকম্প চাপে ফেলেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে। ইতোমধ্যে দেশটিতে প্রশ্ন উঠেছে— এতো বড় মাপের ট্র্যাজেডি এড়ানো যেত কিনা এবং প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সরকার মানুষের জীবন বাঁচাতে আরও কিছু করতে পারতেন কিনা।
৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে অনেকগুলো আফটারশক হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।
ইউএসজিএসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৯৩৯ সালের পর এটাই ছিল তুরস্কে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প।
এদিকে, চলতি বছর মে মাসে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু সময়-সুযোগ ও সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও দুর্যোগ মোকাবিলা ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় আসন্ন নির্বাচনে জয় নিয়ে ঝুঁকিতে আছেন এরদোয়ান, যিনি টানা কুড়ি বছর ধরে দেশটির রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের পদে আছেন।
তবে তুরস্কের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হওয়া সত্ত্বেও ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্প্রতি তিনি যে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন, তাতে দেশটির অভ্যন্তরে প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
ভূগর্ভের দুটি ফল্টলাইনের ওপর তুরস্কের অবস্থান। ফলে ভূমিকম্পঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর তালিকায় তুরস্কের অবস্থান বেশ ওপরের দিকে। কিন্তু দেশটিতে ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত যে বিধিমালা বা নির্দেশনা (বিল্ডিং কোড) বর্তমানে কার্যকর আছে, সেটি ৮০ বছরের পুরনো।