প্রকাশ: সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১:৩৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জসিম উদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভুয়া চিঠি কমিটির সহ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সোহাগসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই আসামিদের মধ্যে দুইজন এস এম হলের আবাসিক ছাত্র নাহিদ এবং বহিরাগত ভুবন (২৯) গ্রেফতার হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি আবদুল্লাহ আল মামুন সোহাগ এবং আরেক আসামি কামাল উসমান পলাতক, তাদের গ্রেফতারে পুলিশের তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
শনিবার নাজমুল হাসান বাদী হয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিষয় উল্লেখ করে এবং ঘটনাস্থল ইন্দিরা রোডের একটি বাসায় ঢুকে আসামিরা সেখানে গিয়ে নাজমুলকে অপহরণ করারও চেষ্টা করে। পরবর্তীতে একজন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তার উপস্থিতি টের পেয়ে উল্লেখিত চার আসামি পালিয়ে যায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৬ ফেব্রুয়ারি মুদ্রা পাচারকারী ও হুন্ডি ব্যবসায়ী দিলকুশার জাহাঙ্গীর ও কামরুলের কাছে চুন্নু মিয়ার পাওনা ২৬ লাখ টাকা উদ্ধারের সময় হুন্ডি ব্যবসায়ীদের পক্ষে মাস্তানি করতে নেতৃত্ব দেন কথিত ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সোহাগ। এরপর হুন্ডি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর ও কামরুল ৬ লাখ টাকা ফেরত দিলেও তারা চুন্নু মিয়ার চাচাতো ভাই নামজুলের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় তার বাসায় হামলা চালিয়ে অপহরণের চেষ্টাও করে।
এ নিয়ে রাতেই শেরে বাংলা নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। যদিও পরের দিন আবারো মামলার দুই এবং তিন নম্বর আসামি চাঁদা নিতে আসলে পুলিশ গ্রেফতার করে। নাহিদ এবং ভুবনকে এখন শেরে বাংলানগর থানায় আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মনির ভোরের পাতাকে বলেন, আমরা মামলার মূল আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। আমাদের হাতে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ এসেছে। যেখানেই থাকুক না কেন, অন্যায়কারীকে প্রেফতার করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে চাঁদাবাজি করলেও তাকে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী চাঁদাবাজ ছাত্রলীগের নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন সোহাগের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় আরো দুটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, সোহাগের নামে ফরিদেুরের নগরকান্দায় মামলা রয়েছে। আর নাহিদের নামে শাহবাগ থানায়, ভুবনের নামে পাবনায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারা চক্রবদ্ধভাবে চাঁদাবাজি করে বলেও জানা গেছে।