চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে গাছে গাছে মুকুল দেখা দিতে শুরু করেছে। এখন সময়ের ব্যবধানে তা আরও বাড়ছে। গতবছর চেয়ে এবছর আমগাছে মুকুলের পরিমাণ কিছুটা বেশি। গাছে গাছে ফুটছে আমের ছোট বড় অনেক মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের সুগন্ধ।
আমচাষি এবং সংশ্লিষ্ট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আর এ কারণেই আশায় বুক বেধে আম চাষীরা শুরু করেছেন পরিচর্যা। তাদের আশা, চলতি মৌসুমে তারা আম থেকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভবান হবেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ঘনিয়ারপাড়, দেওয়ানজিকান্দি, ওঠারচর, রুহিতারপাড়, ডাইয়াখোলা, লুধুয়া, বাগানবাড়ি, নাউরি, টরকী’সহ বিভিন্ন গ্রামের আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই ছোট বড় অনেক মুকুল। ঐসব আমগাছে পুরো মুকুল ফুটতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। আমগাছের ফুলের সৌরভ ছড়াচ্ছে আমের মুকলে। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে মুকলে আছে গাছের প্রায় প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। মুকুলের সেই সুমিষ্ট সুবাস আন্দোলিত করে তুলছে মানুষের মন।
এবার মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে আম বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। আম আম্রপালি, নেংড়া, হাড়িভাঙ্গা, বারি-৪, বারি-৫, বারি-২, ফজলি ও আশ্বিনা জাতেরই গাছ রয়েছে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে আম চাষীরা চোখে ভাসছে স্বপ্ন।
উপজেলার ওঠারচর গ্রামের সাংবাদিক আব্দুল লতিফ মিয়াজীসহ আরো ক’জন আম চাষী জানান, এবার আগেভাগে মুকুল এসেছে। এখন আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাক নাশক প্রয়োগসহ আম গাছে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের বাগানের অধিকাংশ গাছই এরই মধ্যে মুকুলে ছেয়ে গেছে। এবার কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালোভাবে ফুটছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তারা আমের বাম্পার ফলন পাবেন বলে তারা আশা করছেন।
মতলব উত্তর উপজেলা উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, আমের মুকুল আসার আগে-পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন, এ বছর তা বিরাজ করছে। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার আদর্শ সময়। এ সময়ে মুকুলের প্রধান শত্রু হচ্ছে কুয়াশা। এখন পর্যন্ত কুয়াশা কম এবং আকাশে উজ্জ্বল রোদ থাকায় আমের মুকুল ভালো ফুটছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আম চাষিরা সময়মতো আমগাছে পরিচর্যা করলে চলতি মৌসুমে আমের ভালো ফলন পাবেন।