শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: কর্মোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি সম্ভব   নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়: রাষ্ট্রপতি   নির্বাচনে ২১ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন ইসির   দেশজুড়ে যে তিনদিন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা!   মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি ৯ জানুয়ারি   প্রাথমিকের ছুটি বাড়ল ১৬ দিন (তালিকা)   নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
দুই জন্ম নিবন্ধনে স্বাস্থ্যে সুজনের দুই চাকরি!
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: রোববার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৩৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

চট্টগ্রামের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া একজনই ব্যবহার করছেন দুই জেলার দুই জন্ম নিবন্ধন ও দুই জাতীয়তা সনদ পত্র। শুধু তাই নয়, এরমধ্যে কক্সবাজারের উখিয়া মরিচ্যা পালংয়ের জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয়তা সনদ পত্রে ‘স্বাস্থ্য সহকারী’ পদে চাকরি নিয়েছেন উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয়তা সনদ পত্রে ‘স্যানিটারি ইন্সপেক্টর’ পদে চাকরি নিয়েছেন রাঙামাটি জেলা পরিষদে। 

অভিযোগ রয়েছে, দুই জেলার দুই জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয়তা সনদপত্রে দুই চাকরি নেওয়ার পর সংস্থাটির উদ্বর্তন কর্মকর্তাদের বোকা বানিয়ে একের পর এক নিয়েছেন বিস্ময়কর পদোন্নতি। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের নামে ভাগিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক’র মতো আরও একটি পদ। আর এসবের মধ্যদিয়ে যেন হাতে পেয়েছেন আলাদিনের চেরাগ। 

চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগ ও সচেতন মহলের প্রশ্ন, চট্টগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়–য়ার জন্মস্থান কোথায়, তিনি কোথাকার স্থায়ী বাসিন্দা?

অভিযোগ উঠেছে, অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থে চট্টগ্রাম মহানগরের খুলশীতে ক্রয় করেছেন ফ্ল্যাট। উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা পালং গ্রামের বাড়িতে ইট-টাইলসে তৈরি করেছেন পাকা দালান। নামে- বেনামে ক্রয় করেছেন অনেক সহায় সম্পত্তি। নিজের ও স্বজনদের নামে করেছেন ব্যাংক ব্যালেন্স। 

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন এর কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, উপজাতি নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সুজন বড়–য়া বান্দরবানে অভিযুক্ত। এই ঘটনায় বরখাস্ত করা হয় তাকে। তবে রহস্যজনক কারণে সেই মামলাটিও চাপা পড়ে আছে বান্দরবান সিভিল সার্জন এর কার্যালয়ে। 

চট্টগ্রামের পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর দফতরের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন’র (পিএসসি) অনুমোদন ছাড়াই নিজে নিজে হয়ে গেছেন ড্রয়িং ডিস্বার্সিং (আয়ন-ব্যায়ন) অফিসার। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নিজ স্বাক্ষরে তুলছেন বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গকি অর্থ। স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা হিসাব নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম জেনেও ভয়ে মুখখুলছেন না কেউই।

যদিও একাধিক জন্ম নিবন্ধন, জাতীয়তা সনদ, চাকরি ও অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সুজন বড়–য়া। হোয়াটসঅ্যাপে টেক্স পাঠিয়েও কোনো বক্তব্য মেলেনি। 

রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা (চ.দা.) ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা খোকন চাকমা লিখিত প্রশ্ন উত্তরে জানান, ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর ৩৭৬নং স্মারকে  নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নং- ৪-এ  জেলার ৮টি স্যানেটারি ইন্সপেক্টর পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তির ৩নং শর্ত অনুযায়ি পার্বত্য তিন জেলার (বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি) প্রার্থীগণ আবেদন করতে পারবেন, তবে রাঙামাটি জেলার প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তির আলোকে দুইজনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। তম্মধ্যে সুজন বড়–য়া বান্দরবানের স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে আবেদন করেন এবং তিনি সরাসরি নিয়োগ পেয়েছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে খোকন চাকমা জানান, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ’র এই নিয়োগে সমতলের কারোই আবেদন করার সুযোগ নেই। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৪ সালে ‘স্বাস্থ্য সহকারী’ পদে চাকরি নেন ‘সুজন বড়–য়া’। সেই সময় তার স্থায়ী ঠিকানা দেখান কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা পালং গ্রাম। ওই গ্রামের-ই বিমল চন্দ্র বড়–য়া ও প্রীতি রানী বড়–য়ার পুত্র তিনি। উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ’র ১৯ নম্বর বইয়ে তার জন্মবৃত্তান্ত লিপিব্ধ করা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ১৯৮ ৩২২ ১৯৪ ১৫৫ ০৪ ৬৬৬। জন্ম তারিখ- ২৫ অক্টোবর ১৯৮৩। ২০১০ সালের ১০ জুলাই তার এই জন্মনিবন্ধন লিপিবব্ধ এবং একই তারিখে জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হয়েছে।

এরআগে একই তথ্যের ভিত্তিতে ওই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিয়েছেন স্থানীয় জাতীয়তা সনদ পত্র (নাগরিকত্ত্ব সনদ)। যার সিরিয়াল নাম্বার ৮৪৮ তাং ১৫ অক্টোবর ২০০৩। এসব সনদ ও তথ্য উপাত্তে ২০০৪ সালের ৭ জুলাই কক্সবাজারের উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘স্বাস্থ্য সহকারী’ পদে চাকরিতে যোগদেন। তিনি ওইসময় স্বাস্থ্য বিভাগের স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে একটি অঙ্গিকারপত্রও জমা দেন। তার এই অঙ্গিকার পত্রেও স্থায়ী ঠিকানায় উল্লেখ করেন, গ্রাম-মরিচ্যা পালং, পোষ্ট অফিস- মরিচ্যা বাজার, ইউনিয়ন- হলদিয়া পালং, উপজেলা- উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার। 

সুজন বড়–য়া এসব সনদ ও তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রায় ৮বছর স্বাস্থ্য সহকারী পদে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করেন। এই চাকরি থাকা অবস্থাতেই ২০১২সালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীন এবার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে চাকরি নেন তিনি। এই চাকরির আবেদন থেকে শুরু করে যোগদান পর্যন্ত সকল কাগজপত্রে নিজের স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করেন “গ্রাম- উত্তর ঘুনধুম বড়ুয়া পাড়া, ওয়ার্ড নং- ৫, ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ, থানা- নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা- বান্দরবান”। এসব তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করেন বান্দরবান জেলার স্থায়ী বাসিন্দা স্বরূপ বোমাং চীফ সার্কেলের সনদ। নতুনভাবে করা হয় জন্ম নিবন্ধন। নিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকত্ত্ব সনদ। 

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ’র অধীন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ আবেদনের সংযুক্তিতে জমাদেওয়া সুজন বড়–য়ার জন্ম বিন্ধন সনদ যাচাই করে দেখা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ’র ৭নম্বর বইয়ে তার এই জন্মবৃত্তান্ত লিপিবব্ধ করা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ১৯৮ ৩০৩ ১৭৩ ৫৭১ ০০ ৯৯৪। পারিবারিক বৃত্তান্তে সুজন বড়–য়া’র পিতার নাম- বিমল চন্দ্র বড়–য়া, মাতা- প্রিতি রানী বড়–য়া। ২৫ অক্টোবর ১৯৮৩ ঘুমধুম বড়–য়া পাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেছেন। ২০১২ সালের ১৪ এপ্রিল তার এই জন্ম নিবন্ধন এবং জন্ম সনদ ইস্যু করা হয়েছে। তবে এই ইউনিয়ন পরিষদ’র অনলাইন জন্ম নিবন্ধনে সুজন বড়–য়ার পিতার নাম- বিমন কান্তি বড়–য়া, মাতা- প্রীতি রানী বড়–য়া প্রদর্শিত হচ্ছে। একই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিয়েছেন স্থানীয় নাগরিকত্ব সনদ। যার সিরিয়াল নম্বর ৬৩৫, ১৪ এপ্রিল ২০১২। 

নিয়েছেন পার্বত্য এই জেলার স্থায়ী বাসিন্দা স্বরূপ বান্দরবান বোমাং চীফ সার্কেল এর সনদ পত্র। যার সিরিয়াল নম্বর ২৩০০৩, ৯ডিসেম্বর ২০১২। বোমাং চীফ সার্কেল থেকে নেয়া স্থায়ী বাসিন্দা সনদ পত্রে উল্লেখ রয়েছে সুজন বড়–য়া নাইক্ষ্যংছড়ির ২৬৭ নং ঘুমধুম মৌজার উত্তর ঘুমধুম বড়–য়া পাড়ার বাসিন্দা। 

নাম প্রকাশ না করা শর্তে চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, রাঙামাটি জেলা পরিষদ’র এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তিন পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা ব্যতীত বাহিরের প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ ছিল না। তাছাড়া, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ওই “নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’র” ৮নম্বর শর্ত উল্লেখ রয়েছে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চাকরি’র জন্য আবেদন এবং চাকরিতে যোগদানের আগে সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতিপত্র গ্রহণ করতে হবে। তবে নিয়োগের এসব শর্ত কোনটিই মানেননি সুজন বড়ুয়া। এখনও ব্যবহার করাছেন প্রথম চাকরির সার্ভিস বুক। 

রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা খোকন চাকমা জানান, ২০১২ সালে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে নতুন চাকরি নিয়ে রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদেন সুজন বড়–য়া। যা সরাসরি নিয়োগ।  তিনি বলেন, এটা কোনো পদায়ন বা পদোন্নতি নয়।

অভিযোগ রয়েছে, নতুন এই চাকরিতে যোগদানের মিথ্যা তথ্য-উপাত্তে বান্দরবানের বাসিন্দা সেজে রাঙামাটি জেলা পরিষদের অর্দন চাকরি নেয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। ওই সময় এই জাল-জালিয়াতির বিষয়টি লিখিতভাবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যানকে জানান স্থানীয়রা।

তবে সুজন বড়ুয়া বিপদ আঁচ করতে পেরে মাত্র তিন মাসের মাথায় গোপনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ নিয়ে চলে যান বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখান থেকে নিজ বেতনে পদায়ন হন বান্দরবান জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে। এরপরই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি মারমা সম্প্রদায়ের এক নারী স্যানিটারি ইন্সপেক্টরকে ধর্ষণের চেষ্টায় বরখাস্ত হন সুজন বড়–য়া। তার বিরুদ্ধে দায়ের হয় বিভাগীয় মামলা। তবে এসবকিছু আড়াল করে ফের স্ট্যান্ড রিলিজে পাড়ি দেন বান্দরবান থেকে ফেনী। 

অভিযোগে জানা যায়, এবার জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর’র বেতনে (নিজ-বেতনে) পদায়ন হন জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক পদে। এরমধ্যে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগ ধামাচাপা দিতে তড়িগড়ি স্ট্যান্ড রিলিজ নিয়ে এবার ফেনী থেকে পাড়ি দেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে। কয়েকদিন না যেদেই এখানে জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়কের বেতন-ভাতায় দখলে নেন ‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক’ ও ‘জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর’সহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদ। সম্প্রতি এই বিষয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিলে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদ থেকে সড়ে যান তিনি। 

এই বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, সুজনের জালিয়াতির কোনো ডকুমেন্টস থাকলে আমাকে লিখিত অভিযোগ দেন, তার বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা নিব। আর রাঙামাটি জেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর কোনো বক্তব্য মেলেনি।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিষয়টি খুবেই মারাত্মক, তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]