ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া উত্তর মীর বাড়ির বাসিন্দা মোঃ তাজিবুল মীর (৩০) কে মদ্য সেবন করিয়ে হত্যা করিয়েছেন বলে সেচ্ছাসেবক লীগে নেতা সুমন মীরসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
এলাকাবাসী বলছেন সুমন মীর একজন ইন্টারনেট ও ডিস ব্যবসায়ী তার সাথে ব্যবসায়ী বিরোধের জের ধরে যড়যন্ত্র মুলক ভাবে সুমন মীরের লোকজন জড়িত হয়ে তজিবুল মীরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মদ্য প্রাণ করিয়েছে বলে নিহতের পরিবার অভিযোগ দিয়েছে। তজিবুল মীরকে সরিয়ে দিলে ব্যবসা দখল করতে পারবে বলে অভিযোগ রয়েছে।ইতিমধ্যে ডিস ব্যবসা নিয়ে সুমন মীরের সাথে এলাকার একাধিক ব্যবসায়ীর বিরোধে থানায় মামলা হয়েছে। গত কিছুদিন আগে তজিবুল এর প্রায় ৪০টি তার কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে মারুফ ভুইয়ার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইলে সুমন মিয়ার ইন্টারনেট অফিসে তাজিবুল মীর ও সুমন মীরসহ ৬-৭ জন এক সাথে বিদেশি মদ্য সেবন করে, মদ্য সেবন করার পর অন্যদের কোন সমস্যা না হলেও তাজিবুল মীর অসুস্থ হয়ে পড়েন, এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাজিবুল মীরের অবস্থা অবনতি হলে তার বাবা মোঃ ওয়াহিদুল মীর বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন যার নং ৩৯, তারিখ ১৮/০১/২০২৩ ইং। যাদের আসামী করা হয়েছে ১-সুমন মীর ২-মোঃ হিরা মিয়া, ৩-মোঃ শামীম, ৪-সুমন মিয়াসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের নাম দেওয়া হয়েছে।
মদ্যপানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে ৮ জানুয়ারি ২০২৩ ইং সকালে তাকে লাইফ সাফটে রাখা হয়।
এঘটনার প্রায় ২১ দিন পর ২৮ জানুয়ারী শনিবার সন্ধ্যায় তাজিবুল মীরকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত ডাক্তার। পরে লাশ মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ওয়াহিদুল মীর বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ হওয়ার দুইদিন আগে তার ইন্টারনেট লাইন কেটে দখলে নিয়েছে মোর্শেদ ভুঁইয়ার ছেলে মোঃ মারুফ ভুঁইয়া (২৬) দুইদিন পর তাকে মদ্যপান করানো হয়েছে। আমার মনে হয় এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা।
তিনি আরও বলেন, ৬-৭ জন একত্রে মদ্যপান করলো তাদের কিছুই হলো না আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কিভাবে? আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ ওতাদের সবাইকে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানিয়াছেন তিনি।
উক্ত ঘটনায় মারুফ ভুঁইয়া সুমন মীরসহ আরও অনেকেই জড়িত আছে বলে মনে করছেন তিনি তবে এঘটনার সাথে জডিত ছিলেন তাদের আইনের আওতায় নেওয়ার জোর দাবী জানান তিনি।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক এস আই নোমান বলেন, ১৮ জানুয়ারী মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।