প্রকাশ: শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শ্রীনগরে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা ক্ষেতিতে আশানুরূপ ফলনের পাশাপাশি কাঙ্খিত মূল্যে লাভের স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছেন। এরই মধ্যে কিছু জমিতে আগাম সরিষা কাটা শুরু হয়েছে। স্থানীয়ভাবে হাইব্রিড জাতের প্রতিমণ সরিষার কেনাবেচা হচ্ছে ৩৬শত’ থেকে ৩৮শত’ টাকা দরে। সূত্রমতে জানা গেছে, গত বছর প্রায় সাড়ে ৩শত’ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছিল। অসময়ে টানা বৃষ্টিতে সরিষার কাঙ্খিত ফলন না পেয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন স্থানীয়রা।
দেখা গেছে, উপজেলার বাড়ৈখালী, মদনখালী, আলমপুর, শ্রীধরপুর, হাঁসাড়া, বীরতারা, ষোলঘর, আটপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে সরিষার চাষাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে বির্স্তীণ আড়িয়াল বিলের বেশকিছু উঁচু জমিতে আগাম সরিষার চাষ করা হয়েছে। এসব জমিতে হাইব্রিড বারি-১৯ জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। এছাড়া দেশীজাতের রাই/চৈতা ও মাঘি সরিষার চাষও করেছেন অনেকে। মদনখালী ও শ্রীধরপুরের কিছু জমিতে আগাম সরিষা কাটা শুরু হলেও বেশীর ভাগ জমিতে সরিষা পরিপক্ক হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই এ অঞ্চলে পুরোদমে সরিষা কাটা ও মারাই কাজ শুরু হবে। বাড়ৈখালী এলাকার কৃষক গাজী আব্দুল মান্নান বলেন, গতবার প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে সরিষার চাষ করেছিলেন। বৃষ্টির কারণে আশানুরূপ ফলন হয়নি। এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।
পশ্চিম হাঁসাড়ার মো. তালেব মিয়া বলেন, আগের বছর প্রায় ১৪০ শতাংশ (এক কানি) জমিতে সরিষার চাষ করে অর্ধেক ফলন পেয়েছি। এবার ফসলের কাঙ্খিত ফলনে লাভের আশা করছি। মদনখালীর নাজিবর হোসেন, আব্দুল কাইয়ুম, সাইদুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন, বারি জাতের হাইব্রিড সরিষার চাষে সারা পাচ্ছি। বাম্পার ফলন হয়েছে। অধিক লাভজনক হওয়ায় সরিষা চাষে মানুষ ঝুকছেন। একগন্ডা (৭ শতাংশ) জমিতে এই জাতের সরিষা দানা প্রায় ২ মণ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এখন নতুন সরিষার মণ ৩৬শত’ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে। দেশী জাতের চৈত্রা সারিষার মণ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকায়।
শ্রীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার শান্তনা রানী জানিয়েছেন, জানান, ৪শত’ ৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছে। সরিষায় ৬০টি প্রর্দশনী (রাজস্ব) রয়েছে। এ চাষে প্রণোদনার আওতায় ১১শত’ ৫০ জন কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিয়ার আশানুরূপ ফলনের আশা করা হচ্ছে।