দেশের উত্তর-পশ্চিম ও ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। পশ্চিাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ভারত উপমহাদেশের বিভাগের আগে এটি মালদাহ জেলার অংশ ছিল। ১৯৮৪ সালে এ অঞ্চলটি একক জেলা হিসেবে গন্য হয়। তখন জেলাটির নাম ছিল নবাবগঞ্জ। চম্পক থেকেই চাঁপাই। আর নবাবরা এ অঞ্চলে শিকারে আসত, সে সুত্রে নবাবগঞ্জ। এ দুশব্দের সমন্বয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামটির উৎপত্তি হয়। পরে জেলা বাসীর দাবিতে সরকারী ভাবে ২০০১ সালের পহেলা আগষ্টে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামকরণ করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও এই এলাকার উন্নয়ন না হলেও গত ১৪ বছরেই বদলে গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা অর্থনিতি কৃষিনির্ভর। কৃষির মধ্যেই আমই প্রধান। ফলে জেলাটিকে আমের রাজধানীও বলা হয়। জেলায় ছোট সোনামসজিদ থাকায়, দেশজুড়ে বেশ ভালোই পরিচিত এনে দিয়েছে। একটি স্থলবন্দর ও রেল বন্দর ছাড়াও অন্যতম পর্যটন এলাকা রয়েছে জেলাটিতে। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সমাধিও রয়েছে এ জেলায়। ৫টি উপজেলা, চারটি পৌরসভা নিয়ে এ জেলার বিস্তৃতি অংশ। বেশিরভাগ এলাকা দুর্গম চরাঞ্চল।
শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন: বর্তমান সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় নজিরবিহীন সাফল্য এনেছে। বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কলেজের একাডেমিক ভবন, শাহ- নেয়ামতুল্লাহ কলেজের প্রশাসনিক ভবন , নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ভবন, আব্দুস সামাদ কলেজের বহুতল ভবন, শংকরবাটি কামিল মাদ্রাসার বহুতল ভবনসহ ৬ টি কলেজের নতুন ভবন নির্মান করা হয়েছে। এছাড়া স্কুল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হয়েছে অবকাঠামো উন্নয়ন। বেকারত্ব দূর করণের লক্ষে জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র পিটিআই এলাকায় নির্মান করা হয়েছে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যুব উন্নয়ন ভবন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়েছে। দারিদ্র বিমোচনে এ প্রকল্পটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এতে সৃষ্টি কর্মসংস্থান, গড়ে উঠবে দক্ষ জনশক্তি।
যোগাযোগ খাতে উন্নয়ন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হয়েছে ৫৪৭ মিটার দীর্ঘ "শেখ হাসিনা সেতু"।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন এনেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরন হওয়া এ সেতুটি। সরকারের এ উন্নয়ন প্রকল্পটি ছিল চরাঞ্চলের মানুষের বহু দিনের কাংখিত স্বপ্ন । সংযোগ সড়ক। ব্রিজ কালভার্ট। অসংখ্য অভ্যন্তরীন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সরাসরি ঢাকা আন্তনগর ট্রেন চালু চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাসির দীর্ঘদিনের দাবি । এ দাবী পূরনের লক্ষে ২১ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে আমনুরা বাইপাস রেলপথটির নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন দিয়ে আন্তনগর ট্রেনের সঙ্গে সংযোগের ব্যবস্থা করছেন। যাতে আন্তনগর ট্রেনের চাহিদা কিছুটা পূরণ হয়েছে। এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সরাসরি বিরতিহীন রাজশাহী হয়ে ঢাকা চলাচল করে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আতাহার এলাকায় রয়েছে বড় বড় অর্ধশতাধিক রাইসমিল, শোমিল, আটা মিল। ওই এলাকাটির রাস্তা বেহাল দশা হওয়ায়, যাতায়াত করার খুব ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছিল যাত্রীসহ মিল মালিকদের। পরে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের কোটি টাকা ব্যায়ে কনক্রিটের ঢালাই দিয়ে, প্রায় তিন কিলোমিটরের রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ধানণা করা হচ্ছে চলতি বছরেই রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাস্তবায়ন হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিতে জেলা শহর থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ কাজ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জেলার অর্থনীতিতে আসবে নতুন গতি। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুরয়ারী চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন ও প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন জরিপ কাজে নিয়োজিত ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মোডেলিং অব বাংলাদেশ-আইবিএমের প্রতিনিধিদল। চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার পথে যে তিনটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে তার জায়গা নির্ধারণ করা হবে। তাছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা বিভিন্ন পণ্য কম খরচে আনতে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে এই রেললাইন।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নয়ন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে চিকিৎসা খাত উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে বর্তমান সরকার। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল একশ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের লক্ষে নতুন ভবন নির্মানের কাজ চলমান। গনপূর্ত বিভাগের অর্থায়নে ৮ তলা বিশিষ্ঠ হাসপাতালের এ নতুন ভবন নির্মাণে ব্যায় হবে ২৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বিশেষায়িত চিকিৎসায় এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে জাতীয় অন্ধ কল্যান সমিতির চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল। যার নির্মান ব্যায় হয়েছে ৬ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা।যার অর্ধেকেরও বেশি টাকা দিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার।
পর্যটন খাতে উন্নয়ন: শিবগঞ্জের কানসাটে অবস্থিত শতাধিক বছরের পুরাতন ৩১ দশমিক ৯৯ একর জমির ওপর ময়মনসিংহের জমিদার রাজা শসিকান্ত আচার্য বাহাদুর (কুজারাজা পরিচিত) আম বাগান রয়েছে। এখানে ১৬ প্রজাতির প্রায় ২১শ’ আম গাছ রয়েছে। আমের মৌসুমে দর্শনার্থীরা সুযোগ-সুবিধার অভাবে এখানে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। ফলে কুজা রাজার আম বাগানটিকে সংস্কার করে দর্শনার্থীদের জন্য বঙ্গবন্ধু লাইভ ম্যাংগো মিউজিয়াম ও ট্যুরিজম স্পট হিসেবে গড়ে তুললে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আম সেক্টরের উন্নয়নে ও চাষীদের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন এলাকায় ৪৪ একর জমির ওপর গড়ে উঠতে যাচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র। সদর উপজেলার চুনাখালি ও নিমগাছি মৌজার ৪৪ দশমিক ৫১ একর খাস জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে এ পর্যটন কেন্দ্র। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের বাস্তবায়নে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং গণপূর্ত বিভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জের তত্বাবধায়নে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। আর পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে এ জেলার নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন হবে। সর্বশেষ গতবছরের ২৩ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জে শেখ হাসিনার সেতু সংলগ্ন নির্ধারিত পর্যটন এলাকা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আব্দুস সালাম। এর আগে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে মাটির পরীক্ষা কাজ শুরু হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার শান্তি মোড়ে আজইপুর বিলে আগে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায়, কচুরিপানা দিয়ে পুরো জলাশয়টি ঢাকা ছিল।ফলে আশপাশের এলাকাগুলোর পরিবেশ দুষণ হতো।জেলা প্রশানের উদ্দেগ্যে জমে থাকা বজ্যগুলো পরিস্কার করা হয়েছে। জলাশয়টি পুনঃখনন ও অধিকতর সংস্কারের মাধ্যমে এ বিলে ওয়াটার কিংডম, ওয়াটার স্লাইড, ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন রকমের রাইডসহ অধুনিক মানের বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। নক্সা অনুযায়ী এ বিলের গড় দৈর্ঘ্য ৬৪০ মিটার ও গড় প্রস্থ ৯৫ মিটার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পরিচিত এনে দিয়েছে সোনা মসজিদ, তোহাখানা,দারশবাড়ি, ও চামচিকা মসজিদগুলো।দর্শনার্থীদের জন্য বানানো হয়েছে কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যটন মোটেল।
বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে উন্নয়ন: ‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদুৎ’ এই স্লোগান বাস্তবায়নে ১ হাজার ১১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৮টি সীমান্তবর্তী গ্রামের ৮ হাজার পরিবার প্রাথমিকভাবে ৭৪০০ পরিবার বিদুৎ সরবরাহ পাবে। ইতোমধ্যেই ১০৭ কিলোমিটার বিদ্যু সঞ্চালন লাইন সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে অফগ্রিডের কাজ চলমান রয়েছে। সদর উপজেলার মিরের চর এলাকায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সাবমেরিন রাখা হয়েছে।
কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন: ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচারের (বিনা) উপকেন্দ্র নির্মান করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন: ভারতের ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাব আর, ভুগর্ভস্থ পানির অবাধ ব্যবহার, আর জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা পানিশূন্য হয়ে পড়ে শুষ্ক মৌসুম শুরু হলেই। বছরজুড়ে নদীতে প্রবাহ রাখা ও সেচ কাজে পানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে মহানন্দার ওপর রাবার ড্যাম নির্মাণের দাবি করেন জেলাবাসী। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার মডেলিং (আইডাবলিউএম) নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে। আড়াই বছর সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে ১৫১ কোটি টাকার একটি খসড়া নক্সা প্রণয়ন করে প্রতিষ্ঠানটি। ৩৫৩ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ রাবার ড্যামের উজান ও ভাটিতে ৩৬ কিলোমিটার এলাকায় ড্রেজিং করে নদী খনন করার কথা আছে। এর মধ্যে উজানে ১০ কিলোমিটার এবং ভাটি এলাকায় ২৬ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এটাই হবে দেশের সবচেয়ে বড় রাবার ড্যাম। ফলে নদী তীরবর্তী আট হাজার হেক্টর জমি সব মৌসুমেই সেচের আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পটির কাজ শেষ করার সময় নির্ধারণ করা আছে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর।
বিবিধ উন্নয়ন: ২১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সর্বাধুনিক চাঁপাইনবাবগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন। এছাড়াও প্রায় ১০টি ইউনিয়নে অত্যাধুনিক ইউনিয়ন কমপ্লেক্স, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও জেলায় ৬ টি মডেল মসজিদ নির্মাধীন আছে।
এক নজরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জেলাটির আয়াতন ১৭ হাজার ৩ বর্গকিলোমিটার। নির্বাচনী এলাকা আছে ৩ টি। জনসংখ্যা ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৫২১ জন। মোট ভোটার ১০ হাজার লাখ ৬৯ হাজার ১৩৬ জন। শিক্ষার হার ৬৬ শতাংশ। উপজেলা আছে ৫ টি ও পৌসভা আছে ৪টি। ইউনিয়ন ৪৫ টি। গ্রাম ১ হাজার ২৯৪ টি। নদী তিনটি। বিল ৪১ টি। মসজিদ আছে ৪ হাজার ৬৮০ টি। বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১ টি। মহাবিদ্যালয় সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ৪৯ টি, স্কুল এন্ড কলেজ ৯টি।, মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ২২৫ , নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৭০, জাতীয় করণ মহাবিদ্যালয় ৩৩৫, মাদ্রাসা আছে ২৭৮, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ০৬ ও পিটিআই আছে ২টি। জেলাটিতে মোট জমির পরিমান ১৭ লাখ ৩৬ হাজার ২৬ হেক্টর।আবাদ হয় ১২ লাখ, ৯৭ হাজার ৫১ হেক্টর। জেলায় মৎস খামার আছে ৫৯৫ টি। মৎস পোনা উৎপাদন খামার আছে ৯২টি। কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি আছে ১৫টি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর) আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল ওদুদ জানান, জেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতসহ আধুনিক মানের হাসপাতালের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান সরকারের আমলে হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন পরিবর্তন হয়েছে। ফলে এ হাসপাতাল নির্মাণের পর জেলার মানুষের কাক্সিক্ষত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও এ সরকারের আমলে সদর উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের জন্য একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ওই ৭ ইউনিয়নের বাসিন্দারা র্নিবিঘ্নে য্তায়াত করতে পারছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে কানসাটে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু লাইভ ম্যাংগো মিউজিয়ামে দেশের সকল প্রজাতির আম গাছ রয়েছে। মিউজিয়ামটি নির্মাণের পর এখানকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোনামসজিদ পর্যন্ত ফোরলেন সড়কের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জেলা শহর থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ কাজ শুরু হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অর্থনীতি উন্নয়নে ব্যাপক সাড়া ফেলবে। এছাড়া, মহানন্দা নদীতে দেশের সর্ববৃহৎ রাবার ড্যাম নির্মাণের কাজ অতিদ্রুত শুরু হতে যাচ্ছে। এটি হলে বছরজুড়ে নদীতে প্রবাহ রাখা ও সেচকাজে পানি ব্যবহার নিশ্চিত সম্ভব হবে। ফলে পাল্টে যাবে এলাকার দৃশ্যপট।