প্রকাশ: শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইলে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার অভিযোগে দল থেকে অব্যহতি প্রাপ্ত তিন উপজেলা পরিষদের চেয়ার্যমান ও সাবেক একজন চেয়ারম্যানকে ক্ষমা ঘোষনা করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।গত বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে তাদের ক্ষমার বিষয়টি জানানো হয়।ভবিষ্যতে দলের স্বার্থ পরিপন্থি ও শৃংখলা ভঙ্গ না করার শর্তে তারা এ ক্ষমা পেয়েছেন।
ক্ষমাপ্রাপ্তরা হলেন- জেলা আওয়ামী আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ,কালিহাতী উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী বিকম,টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম,বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম।
জানাগেছে,২০১৯ সালের ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়াম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন তারা। দু-একজনকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সরাসরি মদদ ও সহয়োগিতা করেন। এরমধ্যে অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম ছাড়া অপর তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতাপুর্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করে তারা বিজয়ী হন। এঘটনায় দলের মধ্যে তৈরী হয় ব্যাপক গ্রুপিং এবং অন্তর্দ¦ন্দ। বিরোধ ছড়িয়ে পড়ে উপজেলা থেকে ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের মূল¯্রােতে ধাক্কা লাগে। ফলে তাদেরকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি উঠে। পরবর্তীতে ২০২১ সালে ফেব্রয়ারীতে জেলা আওয়ামী লীগের সভায় ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, আওয়ামী লীগের প্রেডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দে সিদ্ধান্তক্রমে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শৃংখলা ভঙ্গ করায় ওই চারজনকে দলের সকল পদ ও দলীয় কাযক্রম থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
ক্ষমাপ্রাপ্তির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের স্বার্থ আদর্শ শৃংখলা, তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষনাপত্র পরিপন্থি সমপৃক্ততার জন্য ইতিপুর্বে ওই চারজনকে দল থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছিল। তারা ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছন। দোষ স্বীকার করে তারা ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকান্ডে আর যুক্ত না হওয়ার লিখিত অঙ্গিকার করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুসারে তাদের ক্ষমা করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এ ধরণের সংগঠন রিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হলে তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।