প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চিনির মূল্য বৃদ্ধি সঠিক সিদ্ধান্ত। পর্যাপ্ত হিসাব নিকাশ করেই এটা করা হয়েছে। এটা না করা হলে বাজারে চিনিই পাওয়া যাবে না। সার্বিক দিক বিবেচনা করে যে দাম হওয়া উচিত সেটাই নির্ধারণ করা হয়েছে। আবার যখন কমানো প্রয়োজন, তখন কমানো হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে এমসিসিআই-এর একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যে পরিমাণ চিনি উৎপাদন হয় তা মোট প্রয়োজনের ১ শতাংশ। চিনির দামের ক্ষেত্রে এটা কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। দেশে উৎপাদিত চিনির পরিমাণ ৫০ হাজার টন। আমাদের চিনির চাহিদা পূরণ করতে হয় আমদানি করে। গ্লোবাল মার্কেটে চিনির দাম বেড়েছে। এ জন্য সমস্যাটা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি ভ্যাট যেন কমিয়ে দেওয়া হয়। ভ্যাটের প্রভাব দামের ওপর পড়ে।
তিনি আরো বলেন, জাহাজে যে পণ্য ছিল সেগুলো গত পরশু থেকে খালাস শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে এলসি খোলার নির্দেশ দিয়েছে। ব্যাংক তাদের আস্থার ভিত্তিতে পণ্য আমদানিতে এলসি খুলে থাকে। সেই জায়গা থেকে ব্যাংকগুলো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের এলসি খুলছে। ছোট গ্রুপগুলোরও ব্যাংক টু গ্রাহকের আস্থার ভিত্তিতে এলসি খুলে থাকে। ব্যাংকগুলোতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রমজানের পণ্যের এলসি যেন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে খোলা হয়।
গ্যাসের দাম কমানোর বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, এ নিয়ে উদ্যোক্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। গ্যাসের দাম অ্যাডজাস্ট করার জন্য যখন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তখন তারা বলেছিলেন যেন নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবারহ হয়। কিন্তু যখন গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো, তখন তারা বলছেন, দাম একটু বেশি হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তারা কথা বলবেন। আমরাও রিপোর্ট করছি যেটা ভালো হয় সেটা করবো।