করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে এ বছর স্বাভাবিকভাবেই বিদেশি মেহমানের সংখ্যা অন্যবারের তুলনায় বেশি। আর দু’বছরের বিরতির পর এ বছরের ইজতেমা নিয়ে উচ্ছ্বসিত বিদেশি মেহমানরা।
বিদেশিদের সহযোগিতার জন্য সার্বক্ষণিক তাদের পাশে থাকছেন বাংলাদেশিরা।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মোট ৫০টি দেশ থেকে ৮ হাজারের বেশি মেহমান ইজতেমায় এসেছেন।
তথ্যে দেখা গেছে, আগত মেহমানদের মধ্যে ইংরেজি ভাষাভাষী রয়েছেন ২ হাজার ৭৯৮ জন, উর্দু ভাষাভাষী ১ হাজার ৫৫০ জন৷ এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের ১ হাজার ৮৬৫ জনও এসেছেন ইজতেমায়।
এছাড়াও পাকিস্তান, সৌদি আরব, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, মালদ্বীপ, নেপাল, জিবুতির মেহমানও রয়েছেন।
মাঠের এক পাশে কামারপাড়া সেতুসংলগ্ন একটি বিশাল তাঁবুতে রাখা হয়েছে তাদের। তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ইজতেমা আয়োজকদের পক্ষ থেকে। তাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার মুসলিম আহমদ ফওজী বলেন, আমি ইন্দোনেশিয়া থেকে ইজমেতায় এসেছি৷ এখানকার মুসলিমরা খুবই বন্ধুসুলভ আচরণ করছেন। তারা আমাদের সকল কাজে সহায়তা করছেন। ইজতেমায় আসতে পেরে আমরা খুব খুশি। এর আগে আমি গোপালগঞ্জের কয়েকটি মসজিদে সফর করেছি৷
ইন্দোনেশিয়ার আরেক মুসল্লি ইদি আজওয়ার বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানরা খুব অতিথিপরায়ণ। একইসাথে তারা ধর্মভীরুও৷ বাংলাদেশে এসে খুব ভালো লাগছে। আমি আগামীতেও এ দেশে আসতে চাই।
ইজতেমার এ পর্বে ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সাদ কান্ধলভীর তিন ছেলেসহ প্রায় ৫০ জন আলেমের এক জামাত অংশ নিয়েছে।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনের আমল। শুক্রবার থেকেই ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা বাস, ট্রাক, পিকআপ, ট্রেন ও নৌ-পথে ময়দানের উদ্দেশ্যে আসেন।