প্রকাশ: শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১:১৯ পিএম আপডেট: ২১.০১.২০২৩ ১:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জেসিন্ডা আরডার্নের পদত্যাগের পর নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন ৪৪ বছর বয়সী ক্রিস হিপকিনস। বর্তমানে তিনি দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা নির্বাচনে ক্রিস হিপকিনস হলেন দল মনোনীত একমাত্র প্রার্থী। ফলে তিনিই জেসিন্ডা আরডার্নের উত্তরসূরি হতে যাচ্ছেন। তবে এ জন্য রোববার তাঁকে পার্লামেন্টে লেবার পার্টির আনুষ্ঠানিক সমর্থন পেতে হবে।
ক্রিস হিপকিনস ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০২০ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব পান কোভিড-১৯ বিষয়ক মন্ত্রীর। পরে বদল করা হয় তার দপ্তর।
‘নিজের কাছে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো আর কিছু অবশিষ্ট নেই’ জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণার পর ক্রিস হিপকিনসের নেতৃত্বের বিষয়টি সামনে চলে আসে। তবে হিপকিনস কতদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন তা এখনো অনিশ্চিত কেননা দেশটিতে আগামী অক্টোবরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
রোববার লেবার পার্টির নেতা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে হিপকিনসকে দেশের প্রতিনিধি পরিষদ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন নিতে হবে। জেসিন্ডা আরডার্ন আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে গভর্নর জেনারেলের কাছে পদত্যাগ পত্র পেশ করবেন। আর এরপর রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষ থেকে ক্রিস হিপকিনসকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে ২০২৩ সালের নির্বাচনের পর দেশটির শীর্ষ পদে থাকতে হলে লেবার পার্টির এই নেতাকে মুখোমুখি হতে হবে অনেক পরীক্ষার।
সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে দেশটিতে উচ্চ মূল্যস্ফিতি ও সামাজিক অসমতার কারণে আরডার্নের জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
এদিকে ক্রিস হিপকিনসের নিয়োগ দেশটির প্রথম মাওরি আদি জনগোষ্ঠী থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিচারমন্ত্রী কিরি এলানের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাকে ম্লান করে দিল।
অন্যদিকে জেসিন্ডা আরডার্নের পদত্যাগের ঘোষণায় পাওয়া গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলছেন তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার আগে তিনি নিজেই সারে যাচ্ছেন।
সামনের নির্বাচনে যদি লেবার পার্টি হেরে যায় তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্রিস হিপকিনস মাত্র আট মাস ক্ষমতায় থাকবেন। যদিও ইতিহাস বলে দেশটিতে ১৮৮৪ সালে মাত্র আট দিনের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন হ্যারি অ্যাটকিনসন।