প্রকাশ: শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:১৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমরা আজকের যে উন্নয়ন দেখছি সেটা কিন্তু ২০০৯ সাল থেকেই শুরু হয়েছে এবং ধারাবাহিকভাবেই চলে আসছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এই দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। এক যুগের বেশি পথচলায় প্রমাণিত হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার এক উন্নয়ন দর্শন। এখন লক্ষ্য ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯৫৩তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
মাকসুদা সুলতানা ঐক্য বলেন, আমরা আজকের যে উন্নয়ন দেখছি সেটা কিন্তু ২০০৯ সাল থেকেই শুরু হয়েছে এবং ধারাবাহিকভাবেই চলে আসছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এই দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের পথে রয়েছে বাংলাদেশ। একসময়ের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র অপবাদ দূর করে উন্নয়নের মহাসড়কে আমাদের গতি এখন অপ্রতিরোধ্য। বদলে যাওয়া এই বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নও ঘটেছে অবিস্মরণীয়ভাবে। কয়েক দশক আগেও বলতে গেলে ঘরবন্দি নারী এখন অর্থনীতি-রাজনীতির বলিষ্ঠ নিয়ন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-ভাবনার বড় অংশজুড়ে রয়েছে নারীমুক্তি ও নারীর ক্ষমতায়ন। আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর বিধায় নারীর ক্ষমতায়নকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে থাকেন, কেননা দেশের অর্ধেক জনসংখ্যাই নারী। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরে শেখ হাসিনার সরকার নারীদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য নানাবিধ কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য পিতার সুযোগ্য সন্তান হয়ে নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে সুসম্পন্ন করার জন্য জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়গতিতে এগিয়ে চলছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়। আর এ ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সুস্থ সুন্দর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় নারীদের আরও আত্মপ্রত্যয়ী হতে হবে।