প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আজকে এমন একটা সময়ে ভোরের পাতা সংলাপে আলোচনা করতে বসছি যে সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের থেকেও বেশী। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে উন্নয়নের চরম শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আজকে একেকজন একেক জায়গায় বসে এই জুম প্লাটফর্মে একত্রিত হয়ে কথা বলতে পারছি এই সব গুলোই কিন্তু সম্ভব হয়েছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯৫২তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠাতা আফছার খান সাদেক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
আফছার খান সাদেক বলেন, আজকে এমন একটা সময়ে ভোরের পাতা সংলাপে আলোচনা করতে বসছি যে সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের থেকেও বেশী। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে উন্নয়নের চরম শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন সেখানে আমাদের কোন উপদেশ দেওয়ার কিছুই নেই। ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয়, ২০২১ সালের লক্ষ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ। গতবছর ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়ন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ পর্ব শেষে আবারও নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের লক্ষ্যের নাম ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। সরকারের এ উদ্যোগকে সাধারণ জনগণ সাধুবাদ জানিয়েছে এবং এ সংক্রান্তে সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে কমিটি। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বলতে স্মার্ট নাগরিক, সমাজ, অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকারের সমষ্টিকে বোঝানো হয়ে থাকে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের কার্যক্রম স্মার্ট পদ্ধতিতে রূপান্তর হবে। এ জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং এর উন্নয়নে একটি দক্ষ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কার্যক্রম ডিজিটাইজেশন করা হবে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্তরিকভাবে ও সততার সঙ্গে কাজ করলে স্মার্ট বাংলাদেশ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করা অসম্ভব হবে না।