প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম ধাপের শুন্য আসনে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি রাতে প্রকাশিত ফলাফলে মেধাতালিকায় পেছনে থাকা অনেকেই ভর্তি হতে পারলেও সামনে থাকা অনেকেই ভতির্র সুযোগ পাননি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যারা সুযোগ পাননি হয় তো তারা স্বাক্ষর করেননি অথবা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেননি। ফলে এমনটা হয়েছে, এখানে আমাদের কোনো গাফিলতি ছিল না।
তবে কোনো শিক্ষার্থী যদি চ্যালেঞ্জ করতে চান, তাহলে গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী দুই হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে আবেদন করতে পারবে।
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান ভর্তি বিজ্ঞপ্তি মোতাবক সব ধরনের শর্ত পূরণ করে সশরীরে উপস্থিত থেকে অ্যাডমিট কার্ডের ফটোকপি এবং উপস্থিত খাতায় স্বাক্ষর দেওয়া সত্ত্বেও ভর্তির সুযোগ বি ত হয়েছন।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত ও পুনরায় ফলাফল প্রকাশের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
সি ইউনিটের ৬৬১ মেধা তালিকায় থাকা উদয় হাসান রাজ বলেন, আমার সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও আমাকে ভর্তির সুযোগ না দিয়ে আমার পরে মেরিটে থাকা অনেককেই ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি আবার ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় মেধা তালিকায় ১০৬৮ সিরিয়ালে থাকা মো. মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, বি ইউনিটে ১২৯২ পর্যন্ত নিয়েছে। সব শর্ত পূরণ করা হলেও আমাকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়নি। এটা রীতিমতো জুলুম ও অধিকার লঙ্ঘন। আমি আমার ন্যায্য অধিকার ফিরে চাই।
রায়হান রাসেল বলেন, গুচ্ছ মেধাতালিকায় বি ইউনিটে আমার পজিশন ছিল ১১৮১। আমার সাজেক্ট পছন্দের তালিকায় ফোকলোর বিভাগ ছিল। অথচ মেধাতালিকায় আমার পেছনে ১২৯২ মেধাক্রমে ফোকলোর বিভাগ পেলেও আমাকে কোনো বিভাগে মনোনীত করা হয়নি। আমি রিপোর্টিংয়ের সময় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর বলেন একটি পক্ষ বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর যদি সংশয় বা অভিযোগ থাকে, তাহলে গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। যোগ্য হলে অবশ্যই ভর্তির সুযোগও পাবেন।