প্রকাশ: সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:২৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মাগুরার শালিখায় বিশ্বাস ট্রেডার্স এর শতাধিকারী নূর নবী বিশ্বাসের (২০) কাছ থেকে অভিনব কৌশলে অনলাইন প্রতারক চক্র ৭৩ হাজার ৫ শত টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে গত মাসের ১২ তারিখে বিজয় দিবসের ভাতা দেওয়ার কথা বলে শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসের নিকট থেকে ৬২ হাজার ২ শত টাকা হাতিয়ে নেই প্রতারক চক্র মর্মে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী নূর নবী বিশ্বাস বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর দুপুরে বুনাগাতি কলেজের অধ্যক্ষের পরিচয় দিয়ে ০১৮৫১-৬৬৭৩৫০ নাম্বার থেকে এক ব্যক্তি ফোন দিয়ে আমাকে বলেন, নুরনবী আমি তোমাকে চিনি, তুমি হয়তো আমাকে চিনবে না তবে আমি তোমার একজন পরিচিত মানুষ। তোমার সাথে সরাসরি সাক্ষাতে গিলে তুমি আমাকে চিনতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, আমি এখন ঢাকায় অবস্থান করছি আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ আমার আশেপাশে কোন রকেটের এজেন্ট নাই । তাই আমি আমার রকেট নাম্বার থেকে তোমার রকেট নাম্বারে ৭৩ হাজার ৫ শত টাকা সেন্ড করতেছি তুমি আমার বিকাশ নাম্বারে টাকাটা পাঠিয়ে দাও এই বলে তিনি আমার রকেট নাম্বার ৭৩ হাজার ৫ শত টাকার তিনটি ব্লাঙ্ক মেসেজ পাঠায়। যা হুবহু রকেটের অরজিনাল মেসেজের মত। পরে তিনি আমাকে ০১৮৫১- ৬৬৭৩৫০ (নগদ) ০১৮২৪-৯১১৮০৪ (বিকাশ) এবং ০১৮২৪-৮৯৮৮৬৭ (বিকাশ) এরকম তিনটি পার্সোনাল নাম্বারে ৭৩ হাজার ৫ শত টাকা পাঠাতে বলে। তখন আমি আমার নিজ রকেট ব্যালেন্স চেক করার চেষ্টা করি কিন্তু ঐ মুহূর্তে আমার রকেট একাউন্টে ঢুকতে পারিনা। তাই সরল বিশ্বাসে তার দেওয়া নাম্বারগুলোতে ২৪ হাজার ৫ শত টাকা করে তিনবারে ৭৩ হাজার ৫ শত টাকা সেন্ড করি। পরে যখন আমার রকেট ব্যালেন্স চেক করি তখন দেখি সেখানে কোন টাকা যোগ হয় নাই।
এ ব্যাপারে শালিখা থানা অফিসার ইনচার্জ বিশারুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং প্রতারক চক্র ধরার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি শালিখা উপজেলার সকল অনলাইন ব্যাংকের এজেন্টদেরকে অনলাইন ব্যাংকিং নীতিমালা অনুসরণ পূর্বক লেনদেন সম্পন্নের অনুরোধ জানান এছাড়াও সবাইকে অনলাইন প্রতারক চক্রের ব্যাপারে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।