প্রকাশ: সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:১৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সংস্কার অভাবে রায়গঞ্জের গ্রামপাঙ্গাসীÑনিজামগাতী সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির একটি সেতুর ডাইভার্সনে মাটি ধ্বসে যাওয়ার কারণে ব্রিজটি হয়ে পারাপার করা চরম ঝুঁকিপুর্ণ হচ্ছে। যেকোনো মূহর্তে ঐস্থানে একটি বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর অতিবাহিত হলেও সড়কটি পাকা করণের কোন উদ্যোগ নেই। সংস্কার অভাবে শুধু ইট বিছানো ঐ রাস্তার স্থানে স্থানে খানা-খন্দকে ভরে গেছে। ফলে রাস্তাটি এলাকাবাসীর জন্য বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গ্রামপাঙ্গাসী গ্রামের কৃষক ইউসুফ আলী জানান, প্রায় ১৬ বছর হলো কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ঐ পথে গ্রামপাঙ্গাসী হাটে নিয়ে নেওয়া যায় না। গ্রামপাঙ্গাসী কারিগরপাড়া গ্রামের অটোভ্যান চালক নাসির উদ্দিন বলেন, সড়কটি পাকা না হওয়ার কারণে দুই কিলোমিটার সড়কের পরিবর্তে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। যা খুবই কষ্টকর।
গ্রামপাঙ্গাসী গ্রামের ব্যবসায়ী আবু ফাত্তাহ ভূঁইয়া জানান, উপজেলার মধ্যে গ্রামপাঙ্গাসী হাট একটি ঐতিহ্যবাহী ব্যবসাকেন্দ্র। প্রতি সোমবার ও শুক্রবার ওখানে হাট বসে। সড়কটির বেহাল দশার কারণে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এলাকার ৮ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। বৃষ্টি বর্ষায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে ঐ পথে চলাচলকারী গ্রামপাঙ্গাসী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও গ্রামপাঙ্গাসী ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীদের।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রায় ১৬ বছর আগে এলাকার সন্তান সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব মোঃ আব্দুস সালাম খানের প্রচেষ্টায় জেলা পরিষদ প্রদত্ত বরাদ্দে ঐ আড়াই কিঃ মিঃ রাস্তায় ইট বিছানোর কাজ করা হয়। এরপর দীর্ঘকাল অতিবাহিত হলেও রাস্তাটি সংস্কার ও পাকা করণ কোন কিছুই হয়নি। জেলা পরিষদ ঐ রাস্তার জন্য বরাদ্দ দেওয়ার আগে রাস্তাটি এলজিইডির ছিল। বর্তমানে এলজিইডি ও জেলা পরিষদ কোন প্রতিষ্ঠানই ঐ রাস্তার কোন আইডি নম্বর দিচ্ছে না। ফলে রাস্তাটি উন্নয়নের জন্য কোন বরাদ্দ হচ্ছে না।
এব্যাপারে পাঙ্গাসী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম নান্নুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঐ এলাকার জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় এমপি মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। এলজিইডির রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল লতিফ জানান এ রাস্তাটি এলজিইডির রাস্তা নয়। জনগুরুত্বপূর্ণ ঐ সড়কটি পাকা করার জন্য ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।