প্রকাশ: রোববার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমি একজন চিকিৎসক ও শিক্ষক, সুতরাং আমার নতুন বছরের প্রত্যাশা এই দুটি কেন্দ্রিকই হবে। ২০২৩ সালে আমার প্রত্যাশা রোগমুক্ত বিশ্ব। আমি চাই সাড়া বিশ্বের মতো বাংলাদেশ বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠুক। আমাদের জন্মভূমিকে বিশ্বের বুকে আধুনিক রাষ্ট্রের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করার স্বপ্নে এগিয়ে যেতে আমাদের। দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নতি অব্যাহত থেকে একটি ভালবাসার বাংলাদেশ গড়ে উঠুক। নতুন বছরে এমনটাই প্রত্যাশা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯৩৪তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢামেকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মনিলাল আইচ লিটু, লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠাতা আফছার খান সাদেক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক, ভোরের পাতা সংলাপের সমন্বয়ক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।
মনিলাল আইচ লিটু বলেন, আমি একজন চিকিৎসক ও শিক্ষক, সুতরাং আমার নতুন বছরের প্রত্যাশা এই দুটি কেন্দ্রিকই হবে। ২০২৩ সালে আমার প্রত্যাশা রোগমুক্ত বিশ্ব। আমি চাই সাড়া বিশ্বের মতো বাংলাদেশ বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠুক। ২০২২ সালের শুরুতে আমরা কোভিড-১৯ থেকে বের হয়ে এসেছি। আমাদের আশা ছিল, ২০২২ সালে অবস্থার আরও উন্নতি হবে এবং আমাদের সাফল্যগুলো আরও সংহত করা যাবে। কিন্তু ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অপ্রত্যাশিতভাবে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া আক্রমণ করায় আবার সবকিছু ওলট-পালট হতে শুরু করে। এই যুদ্ধের ফলে সাড়া বিশ্বে বসবাসরত মানুষের জীবনের উপর প্রভাব ফেলেছে। সুতরাং আমি চাই সবাই এই অবস্থা থেকে উত্তরণ হোক, আমি চাই পৃথিবীতে আবার শান্তি ফিরে আসুক। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা আমাদের বলেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ দেবেন। আজ সত্যিই বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছেন, সেটি শুধু শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সম্ভব। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২২-এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় সরকার এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অত্যাধুনিক পাওয়ার গ্রিড, গ্রিন ইকোনমি, দক্ষতা উন্নয়ন, ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে স্বীকৃতি প্রদান এবং নগর উন্নয়নে কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ৪টি (স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট গভর্নমেন্ট) স্তম্ভের আলোকে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। আমি আশা করছি এই বছরে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বার দৌড়ে অনেকদূর এগিয়ে যাবো।