প্রকাশ: রোববার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শ্রীনগর উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সেলামতি-বাগবাড়ি রাস্তার আলমগীরের বাড়ি সংলগ্ন খালের ওপর জরার্জীণ কাঠের সেতুতে পারাপার করছেন স্থানীয়রা। সেতুটি যে কোন সময় ধ্বসে পড়ে প্রাণ হানির শঙ্কা করা হচ্ছে। বিকল্প পথ না থাকায় এলাকাবাসী বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছেন। ওই এলাকার আড়িয়াল বিলের সংযোগ খালের ওপর সেতুটির পশ্চিম দিকে কয়কীর্তণ ও পুর্বদিকে শ্যামসিদ্ধির সংযোগের ইট সলিং রাস্তার অবস্থাও বেহাল হয়ে পরেছে। নাজুক রাস্তা ও ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু পারাপারে অত্র এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কাঠের পুলটি সংস্কার করা হয়নি। প্রায় বছর খানেক আগে স্থানীয়ভাবে জোড়াতালি দিয়ে কোন রকমে মেরামত করা হয়েছিল। কিছুদিন আগে একটি অটোরিক্সা পার হতে গিয়ে সেতুটির মাঝখানের ভেঙ্গে যায়। পরে কয়েকটি বাঁশ লাগানো হয়। ভেঙ্গে পরার আশঙ্কায় সেতুর দুই মুখে ইট ও লাল রংয়ের নিশান দিয়ে রাখা হয়েছে। যাতে কোন প্রাণ হানির ঘটনা না ঘটে। তার পরেও বাধ্য হয়ে এ অবস্থায় স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, হাটবাজার, ক্লিনিকসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের জন্য হাজারো মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ব্যবহার করছেন।
এ সময় মাদ্রাসা ছাত্র বিল্লাল, ফেরদৌস, গৃহবধূ সুমি বেগমসহ পথচারীরা বলেন, পুলের অবকাঠামো খুবই দুর্বল হয়ে পরেছে। পুলের পাটাটনের কাঠ উঠে ফাঁকা হয়ে গেছে। বিশেষ করে এলাকার বৃদ্ধ ও শিশুরা ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে ইজিবাইক তো দূরের কথা মোটরসাইকেল কিংবা বাইসাইকেল নিয়ে সেতু পার হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনেকেই এ রাস্তায় এসে বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হারুনের কাছে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর ব্যক্তিগতভাবে একবার মেরামত করেছি। এখন সেতুর অবস্থা খুবই খারাপ। কিছুদিন পরেই এখানে পাকা সেতুর নির্মাণের জন্য ঠিকাদার কাজ শুরু করবেন। মানুষের চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তা তৈরী করা হবে। তাই কাঠের সেতু সংস্কারের জন্য কোন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছেনা। আমি পুলটির ইউপি চেয়ারম্যান সাবের সাথে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।