প্রকাশ: রোববার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:০৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বর মাস রেমিট্যান্স আশা জাগিয়ে গেলো। গত বছরের সেপেটম্বরে রেমিট্যান্সে ছন্দ পতন হয়। পরপর দুই মাস এ ধারা অব্যাহত থাকে। নভেম্বর মাসে কিছুটা উন্নতি হয়। ডিসেম্বর মাসে আরও বাড়ে। এর ফলে রেমিট্যান্স নিয়ে যে হতাশা তৈরি করেছিল তার কিছুটা হলেও দূর হয়েছে।
রবিবার (১ জানুয়ারি) এ তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশ করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার বা ১৮ হাজর ১৯০ কোটি টাকা। আগের মাস নভেম্বরের চেয়ে প্রায় ১০ কোটি ডলার বা এক হাজার ৭০ কোটি টাকা বেশি। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই মাসের (ডিসেম্বর) তুলনায় ৭ কোটি ডলার বেশি। গত অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৩ কোটি ডলার।
তথ্য বলছে, চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এর পরই কমতে থাকে রেমিট্যান্সপ্রবাহ। পরের মাস সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, অক্টোবরে এসেছিল ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার।
এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হিসাব বলছে, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৮৩ কোটি ৮৯ লাখ ডলার বা ৩৩ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারে। এক বছর আগের একই দিনে ছিল ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ২২ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দেশের রিজার্ভ কমেছে এক হাজার ১৯৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। আর এক মাসের ব্যবধানে কমেছে প্রায় দুই বিলিয়ন (১.৯৬) ডলার।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ড অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করলে বর্তমান রিজার্ভ থেকে আরও ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে, এতে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে।