প্রকাশ: রোববার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:৪৫ এএম আপডেট: ০১.০১.২০২৩ ১১:৫০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করতে গতকাল রাতে ওড়ানো বেশকিছু ফানুস মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারে পড়ায় বন্ধ রাখা হয়েছিল মেট্রোরেল চলাচল। সকাল ৮টা থেকে এ ট্রেন চলাচলের কথা থাকলেও শুরু হয়েছে সোয়া দুই ঘণ্টা পর।
রবিবার (১ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টায় মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১২টার আগে থেকেই রাজধানীর মিরপুরের প্রায় প্রতিটি এলাকায় আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর পাশাপাশি ফানুস ওড়ানো হয়। ধীরে ধীরে বহু ফানুস নেমে পড়েছে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারে। এতে সকালের মেট্রো যাত্রা থেমে যায়।
মেট্রোর চলাচল পুনরায় চালু হওয়া প্রসঙ্গে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ফানুস পড়া চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে বৈদ্যুতিক লাইন পরিষ্কারের জন্যে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। সকাল ১০টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। সোয়া ১০টা থেকে মেট্রোর চলাচল শুরু হয়।
এর আগে দুর্ঘটনা রোধে মেট্রোরেল চলাচল দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয় বলে জানান ডিএমটিসিএলের এক কর্মকর্তা।
ইংরেজি নতুন বছর বরণ করতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে মিট দ্য প্রেসে নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে কোনো আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুস ওড়ানো যাবে না।
ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের আয়োজন করার সুযোগ ছিল না। কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছিল মানুষের বাসাবাড়ির ছাদকেও। কিন্তু তাতে থামিয়ে রাখা যায়নি উদযাপনকে। আতশবাজি আর ফানুসে ভরপুর ছিল ঢাকার আকাশ।
রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ প্রায় অধিকাংশ ভবনের ছাদেই ছিল আতশবাজি আর ফানুস ওড়ানোর আয়োজন। অনেকে আবার ছাদে বারবিকিউ পার্টিসহ পারিবারিক নানা আয়োজন করেছে।