#২০২৩ সালে বাংলাদেশে আরও নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। #নতুন বছরে আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধির আরও পরিবর্তন দেখতে চাই: উৎপল দাস।
প্রকাশ: শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আজকে যারা ভোরের পাতা সংলাপে সংযুক্ত আছেন তাদের সবাইকে অগ্রিম নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই এবং সাথে দেশবাসীসহ পৃথিবীবাসীকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে মুক্তিযুদ্ধের মূল দর্শন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশে উন্নয়নের সুবাতাস ছড়িয়ে দিতে হবে বাঙলার প্রতিটি ঘরে ঘরে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯৩৪তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আজকে যারা ভোরের পাতা সংলাপে সংযুক্ত আছেন তাদের সবাইকে অগ্রিম নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই এবং সাথে দেশবাসীসহ পৃথিবীবাসীকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। চারিদিকে আজ নববর্ষ উদযাপনের খুব শব্দ আসছে। ছেলে-মেয়েরা নববর্ষ উদযাপনের জন্য মাতোয়ারা হয়ে আছে। সত্যি বলতে কি আসলে এটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এইদিনটিকে কেন্দ্র করে সারা গ্রহব্যাপী নানা ধরনের আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে উৎযাপন করা হয় এবং বাংলাদেশও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। আমরা যদি এটা আলোচনা করতে চাই যে ২০২২ সাল আজ রাত ১২ টায় বিদায় নিচ্ছে আমাদের থেকে এবং ২০২৩ সাল নানা ধরনের সম্ভাবনা নিয়ে উকি দিচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমান সরকার যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একটানা গত একদশক ধরে সেখানে আমরা বলতেই পারি যে বাংলাদেশ সামনের দিনগুলোতে আরও এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে নেতৃত্বে দিচ্ছে। আমাদের নতুন বছরের প্রত্যাশা অনেক কিন্তু কি পরিমাণে এই প্রত্যাশা আমরা ঘরে তুলতে পারবো কিনা সেটাই মূল বিষয়। আজকের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি বলতে চাই তাহলে দেখতে হবে যে, বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষই চায় প্রতিটা ক্ষেত্রেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা, চাই সেটা সামাজিক হোক, রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিকভাবেই হোক না কেন। সব জায়গায় আমরা সমৃদ্ধির পরিবর্তন দেখতে চাই।
উৎপল দাস বলেন, নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন বার্তা নিয়ে আসছে। আমরা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আরও সমৃদ্ধ একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। নতুন আমাদের আরও বহুদূর যেতে হবে এবং এই যাত্রায় আমাদের আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবো। বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা অবশ্যই সুন্দর হবে যদি আমরা আমাদের শিকড়ে ফিরে যেতে পারি। আমাদের শিকড় হচ্ছে একাত্তর, আমাদের শিকড় হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের উন্নয়নের সাথে সাথে সেই অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাতেই বঙ্গবন্ধুর কাক্সিক্ষত স্বপ্নের চূড়ান্ত বাস্তবায়ন হবে। আনন্দ-উল্লাসের পাশাপাশি আমরা অঙ্গীকার করি, নতুন বছরে নতুনভাবে চলতে। নতুনভাবে জীবনযাপন করতে, নতুন স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে। নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে মুক্তিযুদ্ধের মূল দর্শন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশে উন্নয়নের সুবাতাস ছড়িয়ে দিতে হবে বাঙলার প্রতিটি ঘরে ঘরে।