বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ব্রাজিলের সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ৮২ বছর বয়সে মারা গেলেন ব্রাজিলিয়ান এই কিংবদন্তি।
বর্ণিল এক জীবন কাটিয়েছেন পেলে। পেয়েছেন অনেক স্বীকৃতি। ১৯৯৯ সালে শতাব্দীর সেরা অ্যাথলেট হিসেবে স্বীকৃতি পান আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছ থেকে। ফিফার ‘প্লেয়ার অব দ্য সেঞ্চুরি’ হয়েছেন ম্যারাডোনার সঙ্গে যৌথভাবে।
১৩৬৩ ম্যাচ খেলে ১২৭৯ গোল করেছেন পেলে। ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটাই তিনি কাটিয়েছেন সান্তোসে। ১৫ বছর বয়সে ক্লাব ও এক বছর পর জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় তাঁর। এরপর দেশের হয়ে ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ এর বিশ্বকাপ জেতেন পেলে। ১৯৭৭ সালে ফুটবলকে বিদায় বলেন এই কিংবদন্তি।
কিংবদন্তির প্রয়াণের পর ব্রাজিলের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এক আবেগঘন বার্তায় বলেন, আমার জীবনের বড় পাওয়া, আমি পেলেকে খেলতে দেখেছি, পাচায়েম্বু ও মোরুম্বিতে তাকে জীবন উপভোগ করতে দেখেছি, যা আজকের তরুণ ব্রাজিলরা পায়নি। পেলের খেলা, না। আমি দেখতাম, পেলেকে মাঠে একটা দারুণ শো উপহার দিত। কারণ, যখন সে বল পেত, সবসময়ই বিশেষ কিছু করত, যা প্রায় সময়ই গোল দিয়ে শেষ হতো।
এই বার্তার কিছুক্ষণ পরেই এক বিবৃতিতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত জানায় ব্রাজিল সরকার।