স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে হিরাবেন শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দিন কয়েক আগে হিরাবেনকে দেশটির গুজরাট রাজ্যের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
মায়ের মৃত্যুর পর নরেন্দ্র মোদি টুইটারে লিখেছেন, ‘একটি মহিমান্বিত শতাব্দী ঈশ্বরের চরণে বিশ্রামে গেলেন।’
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় নরেন্দ্র মোদি তাঁর মাকে দেখতে দিল্লি থেকে গুজরাটে গিয়েছিলেন।
হিরাবেন গুজরাটের গান্ধীনগরের কাছে রায়সান গ্রামে তাঁর ছোট ছেলে পঙ্কজ মোদির সঙ্গে থাকতেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নরেন্দ্র মোদি নিয়মিত রায়সানে তাঁর মাকে দেখতে যেতেন। বিভিন্ন সময় গুজরাট সফরকালে তিনি রায়সানে গিয়ে মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতেন।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ, উৎসবের সময় নরেন্দ্র মোদি প্রায়ই মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। তিনি তাঁর মায়ের আশীর্বাদ নিতেন।
গত ১৮ জুন হিরাবেনের বয়স ৯৯ বছর পূর্ণ হয়েছিল। এ উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদি লিখেছিলেন, মায়ের জীবন ও আত্মত্যাগ তাঁর মন, ব্যক্তিত্ব, আত্মবিশ্বাসকে গঠন করেছে।
নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘আমার মা যেমন সরল, তেমনই অসাধারণ। ঠিক সব মায়ের মতো।’
৪ ডিসেম্বর মা হিরাবেনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদিকে সর্বশেষ একসঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল। গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন চলাকালে তখন তিনি নিজ রাজ্যে গিয়েছিলেন।
হিরাবেন ১৯২৩ সালে গুজরাটের মেহসানা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। কিশোরী বয়সে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁর স্বামীর নাম দামোদরদাস মুলচান্দ মোদি। বিয়ের পর হিরাবেন তাঁর গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ভদনগর শহরে শ্বশুরবাড়িতে ওঠেন।