বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বে এখন বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হয় অর্জনের জন্য, সাফল্যের জন্য। যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়ে মেট্রোরেল ব্যবস্থার যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করলো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ তথ্য-প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেন। এই রূপকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির প্রসারে বাংলাদেশ বিপ্লব সাধন করেছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯৩২তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম এ লিংকন মোল্লা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. শাহিনূর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বে এখন বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হয় অর্জনের জন্য, সাফল্যের জন্য। যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়ে মেট্রোরেল ব্যবস্থার যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করলো ২৮ ডিসেম্বর। এই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর গণপরিবহনের এই নতুন দিগন্তের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। মেট্রোরেল বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের একটি অন্যতম সাফল্য। রূপকল্প-৪১-এর দিকে এগিয়ে যাওয়ার আরেকটি ধাপ। চলমান নানা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে মেট্রোরেল নির্মাণের দিকে নজর দেয়। এরপর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সমগ্র ঢাকা জুড়ে ছয়টি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হয়। প্রকল্পের কাজ শত ভাগ শেষ করতে সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। এরই একটি অংশ এমআরটি-৬ উত্তরা থেকে আগারগাঁও (সকাল আটটা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত) জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হলো গতকাল। আজ থেকে জনসাধারণ মেট্রোরেলে যাতায়াতের সুবিধা পাবে। এতে পৌনে বারো কিলোমিটার রাস্তা মাত্র দশ মিনিট দশ সেকেন্ডে পাড়ি দেওয়া যাবে। এটি নিঃসন্দেহে উন্নয়নের আরেক মাইক ফলক। ঢাকায় একদিকে যেমন মানুষ প্রতিনিয়ত জীবিকার তাগিদে ছুটে আসছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানজট, তীব্র শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণের তাণ্ডব। দূষণের কবলে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে জনজীবন। যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ কর্মঘণ্টা। ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ, সাধিত হচ্ছে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি। এতো সব সমস্যাকে জাদুর কাঠির মতো নির্মূল করতে আবির্ভাব ঘটেছে মেট্রোরেলের।