সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
এক গাছেই অর্ধশতাধিক মৌচাক!
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:১১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে বিলের রাস্তার ধারে যেতেই চোখে পড়ে পাইকড়ের গাছ। আর এই গাছেই অর্ধশতাধিক চাক বেঁধেছে মৌমাছিরা। একসঙ্গে এতগুলো মৌচাক দেখার জন্য প্রতিদিনই এই গাছটির কাছে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। কেউ কেউতো আবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে এক-দুই-তিন করে গুনতে শুরু করেন চাকের সংখ্যা।

এমনই দৃশ্যের দেখা মেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার কানসাট-ভোলাহাট সড়কের সোনাজল এলাকায়। এই পাইকড়ের গাছটি দেখভাল করেন গাছ সংলগ্ন ওই এলাকারই সেভেন স্টার নামের একটি ইট ভাটার মালিক ও কর্মচারীরা। তাদের দাবি, প্রত্যেক বছরের ৫-৬ মাস এখানে মৌমাছিদের বিচরণ থাকে। 
 
জানা যায়, বিলে এখন সরিষা চাষাবাদ করছেন কৃষকরা। ওই সরিষার ক্ষেত থেকে মৌমাছিরা মধু আহরণ করে নিয়ে আসে। ফলে মৌমাছির গুনগুন ধ্বনিতে গাছতলা ও আশপাশ মুখরিত হয় সব সময়। রাস্তার ধারের পাইকোড়ের গাছটিতে রয়েছে ৫০টিরও বেশি মৌচাক রয়েছে। সাধারণত মৌমাছিরা ৫-৬ মাসের জন্য গাছটিতে বাসা বাঁধে। আবার যখন আম গাছে মুকুল ফোটার সময় হয় তখন অন্য এলাকায় গিয়ে চাক গড়ে তোলে।

সেভেন স্টার নামক ইট ভাটার মালিক রাফিজুল হক ডাবলু বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমরা দেখছি এই গাছটিতে মৌমাছিরা চাক তৈরি করছে। বড়ই ফুল আসার সময় মৌমাছিরা এখানে আসে। তার আগে আমরা গাছের ডাল পালাগুলো পরিষ্কার করে থাকি। ৩-৪ বার মধু সংগ্রহ করার পর মৌচাকগুলো আরও তিন-চার মাস থাকে। যখন আম গাছে মুকুল আসার সময় হয় তখন মৌমাছিরা চলে যায়।

স্থানীয় কৃষক শামসুল হক প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই গাছটিতে মৌচাক বসতে দেখি। গাছের প্রায় সব বড় ডালেই চাক বাঁধে মৌমাছিরা। একটি গাছে এতগুলো মৌচাক সাধারণত দেখা যায় না। অনেকেই এই গাছে অপরিপক্ক থাকা অবস্থায় মধু সংগ্রহ করতে আসলেও, ভাটা মালিকদের তদারকির কারনে তা পারে না। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্যা নেচার এর প্রধান সমন্বয়ক রবিউল হাসান ডলার বলেন, এক গাছে এত মৌচাক সাধারণত খুব কমই দেখা যায়। পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় মৌমাছিদের ভূমিকা অপরিসীম। তাই মৌমাছিরা যাতে র্নিভিঘ্নে মৌচাক তৈরি ও মধু সংগ্রহ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। 

ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুলতাল আলী জানান, রাস্তার ধারের পাইকোড়ের গাছটিতে ৫০-৬০টি মৌচাক রয়েছে। যতটুক জেনেছি ১০-১৫ বছর ধরে এই গাছে মৌমাছিরা বাসা বাঁধে। এই দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে। নিজ চোখে না দেখলে বলে বোঝাতে পারবো না দৃশ্যটি দেখতে কতো সুন্দর। কৃষকের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরণের ফসল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য মৌমাছিরা এখানে আসে। এতে ফসলের পরাগায়নে মৌমাছির ভূমিকা রয়েছে। চলতি শীত মৌসুমে উপজেলায় এবার মাঠে ৯০০ মৌ বক্স বসিয়েছে মৌয়ালরা।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]