খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, মোংলার আওয়ামীলীগ সক্রিয় থাকার কারণে গত ২৫ বছর যাবত বিএনপি-জামায়াত মোংলায় মিটিং-মিছিল করতে পারেনী কিন্ত তাদের সংগঠন এখন কিভাবে শক্তিশালী হলো। আমি মনে করি এখানকার আওয়ামীলীগের নিজেদের অন্তদন্ধের কারণেই এমন পরিস্থিতি হয়েছে। এরকম চলতে থাকলে মোংলায় বর্তমান সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা আগামী দিনে সুন্দরবনে গিয়েও পালানোর জায়গা পাবে না, তাই এখনই দলকে সংগঠিত ও শক্তিশালী করে জামায়াত-বিএনপিকে প্রতিহত করতে হবে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মোংলায় স্থানীয় আ’লীগ কার্যালয়ে কর্মি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি অরো বলেন, বিএনপি’র আমলে নির্বাচনী এলাকা মোংলায় আসলে আমার সাথে কেউ কথা বলতো না, মোংলাবাসীর জন্য আমি সংসদ সদস্য হয়েছি, সে দিন যদি হেরে যেতাম তা হলে আমার রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হতো। মোংলা-রামপাল আমার জন্মভুমি, তাই যতদিন বেঁচে থাকবো এ অ লের মানুষের মাঝে তাদের ভালবাসা নিয়ে বেঁচে থাকবো।
বর্তমানে বিএনপি-জামায়াত ‘দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় বিএনপি আজ পাগল হয়ে গেছে। বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলে নিতে চায় তারা। কিন্তু শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে সেই স্বপ্ন কোনদিন বাস্তবায়ন হবেনা বলেই তাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করে বিএনপি। শেখ হাসিনা আছেন বিধায় আজ বাংলাদেশের মানুষ অনেক কিছু পেয়েছেন। দেশের মানুষের জন্য এমন কোনও কাজ নেই, যা তিনি করেননি।
মোংলা পৌর আ’লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক আরও বলেন, শেখ হাসিনা পৃথিবীতে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে মানুষ তাকে চিহ্নিত করেছেন এবং তাকে সন্মান করেন। এজন্য শেখ হাসিনাকে কিভাবে সরানো যায় সেজন্য একটি গোষ্ঠি একটি দল উঠেপড়ে লেগেছে। প্রতিপক্ষ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আব্দুল খালেক বলেন, বিদেশীদের কাছে না গিয়ে দেশের মানুষের সাথে থাকেন। আজ বিএনপির সাথে ২০ দল ছিল, তা আজ ভেঙ্গে চুড়মার হয়ে গেছে। এখন ২০ দলের মালিক ২০ জন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি এবং জামায়াত ছাড়া এই ২০ দলের প্রস্তাবকারী এবং সমর্থক নাই। এসময় তিনি, বিএনপির সাথে যোগ দেওয়া একসময়ের আ’লীগের নেতা আ স ম আব্দুর রব ও মাহামুদুর রহমান মান্নারও সমালোচনা করেন।
কর্মী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন-উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস কামরুন্নাহার হাই, সাবেক পৌর মেয়র শেখ আব্দুস সালাম, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রহিম হোসেন, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান জসিম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ ই¯্রাফিল হাওলাদার, পৌর আ‘লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা তারিকুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের সভাপতি কাউন্সিলর এস এম কবির, হুমায়ুন হামিদ নাসির সহ আরো অনেকে।
এসময় মোংলা উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ এবং সকল সহযোগী অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ দিন সিটি মেয়র অসুস্থ্য থাকার কারণে মোংলা না আসায় হাতাশার মধ্যে ছিলো এখানকার নেতাকর্মীরা। তাই তার আগমনের খবরে বৃধবার সকাল থেকেই শহর-গ্রামা লের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ তাকে এক নজর দেখার জন্য দুর-দুরন্ত থেকে এসে দলীয় অফিস কার্যলয়ের সামনে ভিড় জমায়।