শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে আরও মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হবে: নাসির উদ্দিন আহমেদ
প্রকাশ: বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০২ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা শহরে যে হারে মানুষ বেড়েছে সেই হারে বিগত কোন সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ দেখিনি। কিন্তু ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসলেন তখন তিনি ঢাকার এই চিরাচায়িত সমস্যাটা দূর করার জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন। ঢাকা শহরে যান জটের কারণে যে পরিমাণ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয় সেই পরিমাণ কর্মঘণ্টাকে যদি আমরা অন্য কাজে বেয় করতে পারি তাহলে অবশ্যই এটা আমাদের উন্নয়নের ধারাকে বেগবান করবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯২৯তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সামরিক গবেষক মে. জে. (অব.) আব্দুর রশিদ, সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ, বাহামাস বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, অটোয়া অ্যালগনকুইন কলেজের অধ্যাপক, কানাডা অটোয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর সেলিম শের। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক, ভোরের পাতা সংলাপের সমন্বয়ক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।
নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উপনীত হয়েছে এবং তিনি একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার এই সকল উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে আগামীকাল আরও একটির উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। রাজধানীবাসীর প্রতীক্ষার দিন শেষ হচ্ছে। বুধবার উদ্বোধন হচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেল। এই দিন উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। যানজটের ভোগান্তিতে নাভিশ্বাস ওঠা নগরবাসীর জন্য মেট্রোরেল স্বস্তি এনে দেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এর মাধ্যমে দেশের যোগাযোগ খাতে লাগছে নতুন প্রযুক্তির ছোঁয়া। দেশের জনগণকে এটি নিয়ে যাবে প্রযুক্তির নতুন যুগে। মেট্রোরেল উদ্বোধন ২৮ ডিসেম্বর হলেও যাত্রীরা ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে যাতায়াত করতে পারবেন। প্রথম দিকে মেট্রোরেল সীমিত আকারে চালু হলেও ধীরে ধীরে বাড়বে এর পরিসর। এ প্রকল্পের আওতায় উত্তরা (দিয়াবাড়ি) থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজ চলছে। এর মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের কাজ শেষ হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর বুধবার এই অংশটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।পুরো মেট্রোরেল পথের দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এর মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পথের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেট্রোরেল চালু হলে ঢাকা শহর যানজটের কবল থেকে অনেকটা মুক্তি পাবে। পাশাপাশি আর্থিক হিসাবের বিবেচনায় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ দশমিক ৫ শতাংশের সমান। আর যানজট থেকে মুক্তি মিললে আমদানি-রপ্তানির সরবরাহ লাইনও গতিশীল হবে। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে আরও মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।