নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুজন কনস্টেবল, দুজন অস্ত্রধারী আনসার, ১০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্যসহ মোট ১৫ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ৮৬টি ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন কনস্টেবল, দুজন অস্ত্রধারী আনসার ও ১০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্যসহ মোট ১৬ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে।
নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১১ প্লাটুন বিজিবি, ১৭টি র্যাবের টিম, পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার ব্যাটালিয়ন সমন্বয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে।
এছাড়া নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের জন্য ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এর পাশাপাশি ২২৯টি কেন্দ্রের সবগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে নগরীর ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এবার রংপুর সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন একজন। ২২৯টি কেন্দ্রের বুথ সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি।
নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।