প্রকাশ: সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নতুন মাত্রায় যুক্ত হলো দেশের প্রথম মেট্রোরেল। এইযে নগর পরিকল্পনার ভিত্তি স্থাপন হচ্ছে এই মেট্রোরেলের মাধ্যমে এটা কিন্তু আমাদের অনেক দূরে নিয়ে যাবে। পৃথিবীর যেসব দেশে মেট্রোরেল চালু করা হয়েছে সেসকল দেশে এর সাথে যেগুলো সংস্থাপন করা হয়েছে তার মাধ্যমে সে সকল দেশে যানজট অনেকটায় নিরসন হয়েছে। আমাদের দেশেও এটার চূড়ান্ত সমাধান হতে যাচ্ছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯২৮তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক, ভোরের পাতা সংলাপের সমন্বয়ক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।
মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, আজকে সবচে খুশি আমি এই কারণে যে আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল চালু হতে যাচ্ছে। এইযে নগর পরিকল্পনার ভিত্তি স্থাপন হচ্ছে এই মেট্রোরেলের মাধ্যমে এটা কিন্তু আমাদের অনেক দূরে নিয়ে যাবে। পৃথিবীর যেসব দেশে মেট্রোরেল চালু করা হয়েছে সেসকল দেশে এর সাথে যেগুলো সংস্থাপন করা হয়েছে তার মাধ্যমে সে সকল দেশে যানজট অনেকটায় নিরসন হয়েছে। আমাদের দেশেও এটার চূড়ান্ত সমাধান হতে যাচ্ছে। উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা মেট্রোরেলের দুটি স্টেশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। উদ্বোধন উপলক্ষে নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় স্টেশনে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হবেন। প্রাথমিক পরিকল্পনায় দিনে সর্বোচ্চ চার ঘণ্টা ট্রেন চালানো হবে। প্রথমে উত্তরা থেকে আগারগাঁও সরাসরি সার্ভিস দেবে এমআরটি সিক্স। আপাতত থামবে না আর কোনো স্টেশনে। গণপরিবহনের নানা সংকট ও যানজটের জাঁতাকলে পিষ্ট নগরবাসী। তবে মেট্রোরেল চালু হলে স্বস্তি ফিরবে জনমনে। বিদ্যুৎচালিত এই মেট্রোরেলে চড়ে কোনো যানজটে পড়তে হবে না, যাত্রীরা দ্রুততম সময়ে পৌঁছাবে গন্তব্যে। মেট্রোরেল চালু হলে গণপরিবহণের অভাব অনেকাংশে দূর হবে সন্দেহ নেই। বাঁচবে নগরবাসীর মূল্যবান সময়ও। তবে মূলত উত্তর-দক্ষিণ পথে চলাচলকারীরাই এর সুফল পাবেন।