#স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে কাজ করতে হবে: ড. শাহিনূর রহমান। #শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হবে: উৎপল দাস।
প্রকাশ: শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ। ২০২১ সালের মধ্যে তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে গেছে, সেটা সবাই প্রমাণ পেয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ স্মার্ট বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে কাজ করতে হবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯২৬তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. শাহিনূর রহমান বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ। ২০২১ সালের মধ্যে তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এই সময়ের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র দূর করে দেশের মানুষকে স্বনির্ভর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সব রকমের প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। সেসব সুবিধা কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক জীবন বদলে ফেলেছে বাংলার মানুষ। একইসঙ্গে ডিজিটাল সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট ভবিষ্যৎপ্রজন্ম সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে গেছে, সেটা সবাই প্রমাণ পেয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ স্মার্ট বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশে যেতে হবে। এবার উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে সরকার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনস্থ ৯টি দপ্তর/সংস্থার প্রধানদের নেতৃত্বে এই ভিশনের আওতায় ১৯৭ টি উদ্যোগ চিহ্নিত করে মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ৪টি (স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট গভর্নমেন্ট) স্তম্ভের আলোকে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান, কারিগরি ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের যে ভিত্তি তৈরি করে গেছেন, সে পথ ধরেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে কাজ করতে হবে।
উৎপল দাস বলেন, ইতিমধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি এবং উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ ভিশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ গঠিত হয়। আজকে আমরা দেশের যেখানেই থাকি না কেন, সবাই সবার সাথে কানেক্টেড আছি। আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে ধাবিত হচ্ছি। এরমধ্যেও নানা সময় নানান ধরণের হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রেই আর কাজ দিবে না। বাংলাদেশ আরও দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের যে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন স্মার্ট বাংলাদেশের, আমার সেই অভীষ্ট লক্ষে পৌছাতে সক্ষম হবো বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বেই এবং এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আরও দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।