প্রকাশ: শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:৩৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সারা দেশের ন্যায় টাংগাইলের নাগরপুরেও শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। শীতের দেখা পেয়ে খুশিই হয়েছেন নাগরপুরের ভ্রাম্যমান পুরাতন গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা। তাদের আমদানি করা বিভিন্ন রকমের শীতের গরম কাপড়গুলো বেশির ভাগই বিক্রি হয় জেঁকে আসা শীত অথবা ঘন কুয়াশার দিনগুলোতে। এখন শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে দুপুরের পর থেকেই বেশ শীত অনুভব করছে এই অ লের মানুষ আর এসময়ে গরম কাপড়ের ব্যবসাটাও হয় জমজমাট।
কিন্তু নাগরপুরে এবার শীতের আমেজ শুরু হলেও গরম কাপড়ের কদর বাড়লেই তুলনামূলক কম বিক্রি হচ্ছে ব্যবসায়ীরা এর প্রধান কারণ পুরাতন পোষাক বিগত বছরে যে টাকা দিয়ে ক্রয় করে আনা হত এর চেয়ে দুইগুনের অধিক দামে কিনে আনতে হচ্ছে আমাদের যার ফলে গ্রাহকদের কাছে অধিক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে এজন্য গ্রাহকগণ দাম দর করে না কিনে চলে যাচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নাগরপুর সরকারি কলেজের পুকুর পাড়, নাগরপুর মধ্য বাজার, গয়হাটা সিংজোড়া বাজার, পাকুটিয়া বাজারসহ ব্যস্ততম সড়ক গুলোর পাশে বসা পুরাতন শীতের পোশাকের ভ্রাম্যমান দোকানগুলোতে নেই তেমন জমজমাট ভাব।
নাগরপুরের গয়হাটা পুরাতন শীতের পোশাকের ব্যবসায়ী আব্দুল রহমান (৮০) এর সঙ্গে কথা হয় তিনি জানান, প্রায় ৫০ বছর যাবৎ এই ব্যবসা করে আসছেন। শীতের প্রখর বৃদ্ধি থাকলেও গরম পোশাক বিক্রিতে গ্রাহকদের খুব বেশী সাড়া পাচ্ছি না। শতভাগের মধ্যে প্রায় ৫০%-এ নেমে এসেছে আমাদের ব্যবসা। তবুও বেশী লাভের আশায় নিয়মিত নাগরপুরের বিভিন্ন স্পটে ভ্রাম্যমাণ দোকান দিযে বসে আসেন।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটা কাপড়ের মূল্য বেশি দিয়েই পাইকারী ভাবে ক্রয় করতে হচ্ছে। তাই আমরাও ক্রেতাদের কাছে একটু বেশী মূল্যে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু দোকান গুলোতে ক্রেতার সংখা খুবই কম তাই আমাদের বিক্রির অবস্থাও খারাপ। পুরাতন পোশাক ভেদে ১০০০, ৫০০, ২০০, ১০০ টাকা থেকে টাকা পর্যন্ত প্রতিটি পোশাক দাম চাওয়া হচ্ছে। নাগরপুর বাজারের পুরাতন কাপড় বিক্রেতাগণ জানান-বিক্রি খুবই কম তারপরেও যারা ক্রয় করার জন্য আসে দাম একটু চড়া হওয়ায় দাম দর করে চলে যায়।
দাম বেশী হওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি জানান, মোকামে দাম বেশী হওয়ায় শীতবস্ত্র বেশী দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
এদিকে কাপড় কিনতে আসা কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা জানান বড় বড় মার্কেটের দোকান গুলো এবং শোরুম থেকে কাপড় কিনতে যাচ্ছেন না কারণ ভ্রাম্যমান ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে কাপড় সহজেই কেনা যায়। এখানে কম দাম হলেও ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়। তাই নিম্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের প্রায় অনেক লোকই চলে আসে। এখানে সাধ্যের মধ্যে ২০০-৩০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের শীতের পোশাক ক্রয় করা যায়। গতবারের চেয়ে এবার পুারতন শীতের পোশাকের দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশী মনে হচ্ছে।