#শেখ হাসিনার সাফল্যের পালকে প্রতিনিয়ত নতুন মুকুট যুক্ত হচ্ছে: কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন। #ডিজিটাল থেকে স্মার্টের পথে আমরা: মেহেদী হাসান। #স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে আছি আমরা: অধ্যাপক মনিলাল আইচ লিটু।
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমাদের সাফল্যের পালকে প্রতিনিয়ত একটি করে মুকুট যুক্ত হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ। মূলত এটি একটি ধারণাপত্র ও কর্মকৌশল- যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে ও হবে বর্তমান সরকার কর্তৃক। । বঙ্গবন্ধু একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যে সমৃদ্ধ ও উন্নত জীবন প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নপূরণ করছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯২৫তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক কর্নেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মেহেদী হাসান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢামেকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মনিলাল আইচ লিটু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক, ভোরের পাতা সংলাপের সমন্বয়ক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।
অধ্যাপক কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন বলেন, আমি প্রথমেই সবাইকে বিজয় মাসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি অনেক গর্বিত ও আনন্দিত যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন। আমাদের সাফল্যের পালকে প্রতিনিয়ত একটি করে মুকুট যুক্ত হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ। মূলত এটি একটি ধারণাপত্র ও কর্মকৌশল- যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে ও হবে বর্তমান সরকার কর্তৃক। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ‘ভিশন-২০২১’-এর মূলভিত্তি হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। ব্যাপক ও বহুমুখী উন্নয়নে একের পর এক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন শুরু করা হয় একইসঙ্গে একাধিক মেগা প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে। নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী সরকার ইতোমধ্যে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি দিয়েছে এবং স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করেছে মহাকাশে। বর্তমানে ১৬ কোটি মানুষের হাতে ১৮ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহৃত হচ্ছে। ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রেও দেশে ইতিবাচক ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আইসিটি রফতানি ২০১৮ সালেই ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান, কারিগরি ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের যে ভিত্তি তৈরি করে গেছেন, সে পথ ধরেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এক যুগের বেশি পথচলায় প্রমাণিত হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার এক উন্নয়ন দর্শন।
মেহেদী হাসান বলেন, আসলে প্রযুক্তিগতভাবে পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে তার সাথে আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে। তাই আমাদেরকেও অত্যাধুনিক হতে হবে। আজকের বিষয়টি আমার কাছে অত্যন্ত ভালো লেগেছে কারণ স্মার্ট বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আজ আছে বিধায় আমরা স্মার্টের কথা ভাবছি। দিন বদলের সনদ রূপকল্প-২০২১-এর মূল উপজীব্য হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা আসে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা দেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ আসলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ, যার বাস্তবায়ন শুরু হয় ২০০৯ সালে। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন দর্শনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দেশের সব মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও বিকাশ, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ডিজিটাল অর্থনীতি ও ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তোলার ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। স্মার্ট বাংলাদেশ ধারণার বাস্তবায়ন দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে সন্দেহ নেই। এ লক্ষ্যে এরইমধ্যে নানা প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের অনেক আশবাদী করে তুলেছে সরকারের বিভিন্নমুখী তৎপরতা। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বলতে স্মার্ট নাগরিক, সমাজ, অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার গড়ে তোলা হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের কার্যক্রম স্মার্ট পদ্ধতিতে রূপান্তর হবে। এ জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং এর উন্নয়নে একটি দক্ষ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
অধ্যাপক মনিলাল আইচ লিটু বলেন, আজকের ভোরের পাতা সংলাপের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহাসিক কাজ করেছিল। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী ইশতেহারে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। আজ এতো বছর পরে প্রযুক্তিভিত্তিক তথ্য ও সেবা পৌঁছে গেছে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। বঙ্গবন্ধু একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যে সমৃদ্ধ ও উন্নত জীবন প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নপূরণ করছে। সাড়ে চৌদ্দ বছরে বাংলাদেশে ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ ঘটেছে। প্রযুক্তিভিত্তিক তথ্য ও সেবা পৌঁছে গেছে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী, প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তার এই স্বপ্ন, প্রয়াস ও কর্মকৌশলকে নিজেদের রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করার সুফল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আজ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে আছি আমরা।