আজ বাদ ফজর হইতে জুম্মার নামাজ পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত কোরআন ও হাদিসের আলোকে গুরুত্ব পূর্ণ বক্তব্য রাখেন মাওলানা রুহুল আমিন। অতপর জুমার নামাজ হইতে বাদ আসর পর্যন্ত ইমান ও আমলের উপরে গুরুত্ব পূর্ণ বক্তব্য রাখেন মুফতি মাওলানা ওছামা সাহেব। বাদ আসর হইতে মাগরিব পর্যন্ত ইমান ও আমলের উপরে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন ডাঃ রফিকুল ইসলাম। বাদ মাগরিব বয়ান করেন তাবলিগ জামাতের আহলে সুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম।
এ ইজতেমায় মূলত সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাসকারী মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন। মেহমান হিসাবে রয়েছেন পাবনা, বগুড়া, নাটোর, নওগা, টাঙ্গাইল ও মাদারীপুরের তাবলীগ জামায়াতের মুরুব্বিরা। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও মালয়েশিয়া থেকে আসা কয়েকটি তাবলীগ জামায়াতের সদস্যরা এই ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে।
ইজতেমা পরিচালনা কমিটির সদস্য ডা. এস এম নাজিম উদ্দিন জুয়েল জানান, যমুনা নদীতীরে নিরিবিলি পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার জন্য আলাদা আলাদা স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ইজতেমায় মুসল্লিদের জন্য স্যানিটেশন ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও ওজুখানার ব্যবস্থা রয়েছে। একটি মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরা ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, পুরো ইজতেমা এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় রেখে ময়দানে স্থাপিত পুলিশ কন্টোল রুম থেকে নিরাপত্তার বিষয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া পোশাক পরিহিত এবং সাদা পোশাকেও নিরাপত্তায় রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। যাতায়াতের রাস্তায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ট্রাফিক সদস্যরা কাজ করছেন।