প্রকাশ: শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:১৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নে কৃষিজমিতে চলছে অবাধে পুকুর খনন। পুকুর খননে কৃষির ধ্বংসযজ্ঞ চললেও প্রশাসন যেন কিছুই দেখছে না। নামমাত্র কিছু অভিযান চালালেও প্রভাবশালীরা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর বাজার সংলগ্ন বিস্তীর্ণ কৃষি জমির এক পাশ থেকে এক্সকাভেটর লাগিয়ে পুকুর খনন করছেন নারায়নপুর ইউনিয়নের ইমরান মুন্সী ও মেম্বার বাদল রাড়ী।
অবৈধভাবে অবাধে তিনি পুকুর খনন করাচ্ছেন এবং মাটি ইটভাটায় বিক্রি করছেন। তবে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন পুকুর খনন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করলেও কোনো সুফল আসেনি তাতে।
ওই এলাকার কৃষক জালাল মোড়ল জানান। অবৈধভাবে কৃষি জমি কেটে পুকুর খনন করে পাশে আমার কৃষি জমি নষ্ট করে দিয়েছে ইমরান মুন্সী। প্রশাসন আসার পরেও তারা কোনোভাবেই বন্ধ করছে না কৃষিজমির এই ধ্বংসযজ্ঞ।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কৃষিজমিতে পুকুর খনন করতে দেখে পুকুরের মালিকসহ গাড়ির চালককে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করেছি। নারায়নপুর ইউনিয়ন অভিযানে গিয়ে ওখানে যেয়ে আমরা ভেকু পাইনি। ওখানে বাসুকুড়ি নামে একটা লোক জানালেন এই জমির মালিকানা নিয়ে উনি মামলা করেছেন বিআরএস রেকর্ড সংশোধন করার জন্য। বর্তমান রেকর্ডে মালিক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান চান মিয়া রাড়ী। সে ইউপি মেম্বার বাদল রাড়ির কাছে জমি বিক্রি করেছে। বাদল রাড়ি ইটভাটার কাছে মাটি বিক্রি করছে। জমির মালিকানা দাবিদার বাসুকুড়ি, থানায় মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।