শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
সাপ্তাহিক ও বড়ো দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল
মোহাম্মদ শফিক, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:১১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

সাপ্তাহিক ও বড়ো দিনের টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। পাশাপাশি শেষ হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাও। সব মিলিয়ে ভ্রমণে মেতে ওঠেছে দেশের ভ্রমণ পিপাসু মানুষ। তবে এবারে ১৬ ডিসেম্বরের পর কক্ষভাড়ার বিপরীতে কোনো ছাড় দিচ্ছেনা হোটেল মালিকরা। এদিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বাসে দলে দলে আসছে পর্যটক। 

সৈকত ছাড়া-ও  পর্যটন শহরের অলিগলিতে পর্যটকে মুখরিত। পাশাপাশি দরিয়ানগর,ইনানি, হিমছড়ি, মেরিন ড্রাইভসহ  সব দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকে ঠাসা। অন্যদিকে রুম না পেয়ে বিপাকে পড়েছে অনেক পর্যটক। পর্যটকের চাপে পরিবহন যেমন সংকটে পড়েছে তেমনি, হোটেল মোটেল জোন ও কলাতলির মোড় থেকে লিংরোড পর্যন্ত চরম যানজট বেঁধেছে। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্হানীয়রাও। তবে যানজট নিরসনে সার্বক্ষণিক কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ।  

 তাদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ,  ও জেলাপ্রশাসন এর পর্যটন ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে  বিচ কর্মীরা। আর এবারের ছুটিতে কক্সবাজারে ৫ লাখের বেশি পর্যটকের উপস্থিতি আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ফলে ৫০ কোটি টাকার বেশি বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে।

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ হোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেল, গেষ্ট হাউসের সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। বিশেষ করে শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত কক্সবাজারের অধিকাংশ হোটেলে কোন রুম নেই। পাশাপাশি শুক্রবার বুকিং থাকার কারণে যে সব পর্যটক একদিন আগে বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজার পৌছেঁছে। তারাও রুম পেতে হিমশিম খাচ্ছে।  

হোটেলমালিকেরা বলছেন, গতকাল থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিন শহরের হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউস-রিসোর্টের কোনো কক্ষ খালি নেই। রবি ও সোমবার ২ দিন ১০ শতাংশ কক্ষ খালি থাকলেও এরপর থার্টি ফার্স্ট নাইট (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত শতভাগ কক্ষ অগ্রিম বুকিং করা। আগামী ১০ দিনে সৈকতে অন্তত ৭ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে মালিকেরা মনে করছেন।

কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ  বলেন, ১৬ ডিসেম্বরের পর কক্ষভাড়ার বিপরীতে কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। যদিও নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছিল সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, টানা তিন দিনের ছুটিতে কয়েকলাখ পর্যটকের সমাগম হতে পারে। তাই আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিমও কাজ করছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সবসময়ই সজাগ আছি। 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটক সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সবসময় মাঠে আছি। খাবার থেকে শুরু করে সবকিছু দাম নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে যাচ্ছি। সুতরাং কক্সবাজার এসে কোন পর্যটক আশাকরি হয়রানী কিংবা ভোগান্তির শিকার হবেনা। 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]