প্রকাশ: শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
উত্তরের সীমান্তবর্তী উপজেলা কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে জেঁকে বসেছে শীত। যতই দিন যাচ্ছে এ জনপদের শীতের তীব্রতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন দিন ধরে কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীত পড়তে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় দূর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া ছিন্নমুল মানুষের। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহওয়া অফিস।
সন্ধা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে ভুরুঙ্গামারী। কমছে বাতাসের আদ্রর্তা আর বাড়ছে হিমেল হাওয়া। তাপমাত্রা থাকছে ৯ থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশার কারনে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর, শিশু ও বয়স্করা।
শীতের তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়েছেন চরা লের মানুষ। ঘন কুয়াশার কারনে সময় মত কাজে যোগ দিতে পারছেন না শ্রমিকরা। গবাদী পশু ছাড়াও অন্যান্য প্রাণীকূলের শীতের প্রকোপে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। গোটা উপজেলার ছিন্নমুল মানুষের রাতদিন কাটছে যুবুথুবু অবস্থায়।
শীতের তীব্রতা নিবারনে সরকারী কিংবা বেসরকারী সংস্থার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। যার ফলে এ অ লের ছিন্নমুল মানুষকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন করতে দেখা গেছে।
উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের রিয়াজুল, লাইলি, মজনু, নজরুল ইসলাম ও আম্বিয়া বেগম বলেন, আমরা সোনাহাট স্থলবন্দরে কাজ করি। সকাল সাড়ে সাত টায় বন্দরে পৌঁছাতে হয়। ঘন কুয়াশা ও শীতের কারনে অটো নাই। কাজে যোগ দিতে কষ্ট হচ্ছে।
অটোরিক্সাচালক আলী হোসেন বলেন, কুয়াশার কারনে সড়কে অটো চালাতে সমস্যা হচ্ছে। সকাল বেলা হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। তাছাড়া যাত্রীও কমে গেছে। কুয়াশা বাড়লে আয় কমে যাবে। খুবই সমস্যায় পড়তে হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম জানান, উপজেলার প্রথম পর্যায়ে ৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা ১০টি ইউনিয়নে ইতমধ্যো বিতরন করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহওয়া ও কৃষি পর্যাবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, ২৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একটি শৈতপ্রবাহ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এতে জেলার তাপমাত্রা আরও কমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।