প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
অবশেষে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকায়, খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হওয়া ৮ ব্যক্তি ফিরে এসেছে। বুধবার মধ্যরাতে অক্ষত অবস্থায় তারা বাড়িতে ফিরে আসে।
ফিরে আসা ব্যক্তিরা হলেন- জাহাজপুরা এলাকার মোস্তফা কামাল, তার ভাই করিম উল্লাহ, একই এলাকার মোহাম্মদ উল্লাহ, মো রিদুয়ান, সলিম উল্লাহ, নুরুল হক, মো. আবছার ও নুর মোহাম্মদ।
অপহৃত সেলিমের বড় ভাই আকতার হোসেন জানান, শুরু থেকেই জনপ্রতি তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছিলেন অপহরণকারীরা। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ে তল্লাশি চালানোয় এবং সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে অপহৃতদের ওপর নির্যাতন চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাদের চাহিদা মতো টাকা দেওয়ার কথা নিশ্চিত করার পর দিবাগত রাতে অপহৃতদের নিয়ে জাহাজপুরা গর্জন বাগানের কাছাকাছি এসে ভুক্তভোগীদের পরিবার টাকা হস্তান্তর করার পর অপহৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, অপহৃতরা এলাকায় এসেছে জানার পরপরই তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অপহরণের শিকার ভিকটিমরা জানিয়েছেন, তাদের পাহাড়িছড়ার ভেতর বেঁধে রাখা হয়েছিল। বিভিন্ন সময় তাদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে সবিস্তরে জানানো হবে। তবে টাকা পরিশোধের বিষয়টি অবগত নন বলে জানিয়েছেন ওসি।
এদিকে, ওই আটজনকে অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মোস্তফা কামাল ও করিম উল্লাহর ভাই হাবিব উল্লাহ মুঠোফোনে জানান, মধ্যরাত আড়াইটার দিকে অপহৃত সবাই বাড়িতে ফিরে আসে। তারা ফিরে আসার খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িতে এসে তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে।
তাদের উদ্বৃতি দিয়ে হাবিব জানান, অপহরণকারীরা ২২ জন ছিলেন, এরমধ্যে মাত্র ১ জন রোহিঙ্গা। বাকিরা সবাই বাংলাদেশী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার ওসি আব্দুল হালিম জানান, পুলিশের অভিযানের মুখে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে সন্ত্রাসীরা।
রোববার সকালে জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকার খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছিলেন তারা।