ডিজিটাল বাংলাদেশ ছিল বাংলাদেশের সর্বাত্মক সফল ধারণা: ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল
প্রকাশ: বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:২২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমরা যদি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আজকে বাংলাদেশকে বিবেচনা করি তাহলে যেসব উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের এই ভূখণ্ডটি স্বাধীন হয়েছিল তার অনেকটাই পূরণ হয়ে গিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্নের সোনার বাংলা সেটা গড়বার চিন্তার ধারাবাহিকতা রেখেই তারই কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে আমি বুঝি বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলাকে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯২৩তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাড. মশিউর মালেক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক, ভোরের পাতা সংলাপের সমন্বয়ক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।
ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, আমরা যদি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আজকে বাংলাদেশকে বিবেচনা করি তাহলে যেসব উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের এই ভূখণ্ডটি স্বাধীন হয়েছিল তার অনেকটাই পূরণ হয়ে গিয়েছে। আমরা যদি অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলি তাহলে আজকের কথাই শুরুতে বলতে হয় যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৫০টি জেলায় ২ হাজার ২১ দশমিক ৫৬ কিলোমিটার সম্মিলিত দৈর্ঘ্যের ১০০টি সড়ক ও মহাসড়ক উদ্বোধন করেছেন। আমরা যে উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান এটি তার আরেকটি ক্ষুদ্র স্মারক মাত্র। এইরকম অসংখ্য-অজস্র অর্জন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ বছরে আমাদের দিয়ে গেছেন। এইযে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আমদের অর্থনীতি ধ্বসে পর্বে, কিন্তু তার কিছুই হয়নি। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা প্রত্তাশা করি আগামী বছর থেকে আমরা আরও ঘুরে দাঁড়াবো। আজকে যখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছি তখন আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য গুলো তুলে ধরতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ ছিল বাংলাদেশের সর্বাত্মক সফল ধারণা। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিভিত্তিক, জ্ঞানভিত্তিক এবং উদ্ভাবনী বাংলাদেশ। স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ বাস্তবায়নের জন্য স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট ট্রান্সপোর্টেশন, স্মার্ট ইউটিলিটিজ, নগর প্রশাসন, জননিরাপত্তা, কৃষি, ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং ও সাইবার সিকিউরিটি এই চারটি প্রযুক্তিতে আমাদের মনোযোগী হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তর করছি সেখানে আমরা কিন্তু ঠিকঠাক পথেই এগুচ্ছি।