শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে
#বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই হাঁটছেন শেখ হাসিনা: বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ। #শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: ড. মিল্টন বিশ্বাস। #স্মার্ট বিশ্বের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি হচ্ছে: মেহেদী হাসান।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:১০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

বিজয় মাস বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অধ্যায়। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে মহত্তম ও গৌরবময় ঘটনা আমাদের এই বিজয় মাসে। আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশের ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহার করছে, ১৮ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যাবহার করছে। এইগুলোই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের সর্বোত্তম উদাহরণ। আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি এবং এই এগিয়ে যাওয়া আরও তরান্বিত হবে ও আমরা যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছি সেটা সুসম্পন্ন হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্বে। 

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯২২তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ,  সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য, কবি ও কলামিস্ট ড. মিল্টন বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মেহেদী হাসান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক, ভোরের পাতা সংলাপের সমন্বয়ক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ বলেন, বিজয় মাস বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অধ্যায়। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে মহত্তম ও গৌরবময় ঘটনা আমাদের এই বিজয় মাসে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একদিকে যেমন করুণ, শোকাবহ, লোমহর্ষক, তেমনি ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল ও বীরত্বপূর্ণ। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতি অর্জন করেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের এই বিজয় অর্জিত হয়। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ অর্জনের ও আত্মগৌরবের একটি দিন।  অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজারেও ইতিবাচক হাওয়া বইছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। আর এই কারণেই রপ্তানি খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি একই সময়ে শ্রম আয় এবং রেমিট্যান্স বেড়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে অর্থনীতির পণ্ডিতগণেরাও বলেছিলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি করা অসম্ভব। সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন শেখ হাসিনা। কেবল পদ্মা সেতুই নয়, দেশি-বিদেশি অর্থায়নে তৈরি হচ্ছে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অসংখ্য মেগা প্রকল্প। একমাত্র শেখ হাসিনার জন্যই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতি আজ বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

ড. মিল্টন বিশ্বাস বলেন, গত ৫১ বছর ধরে আমরা যে বিজয়ের চেতনাকে লালন পালন করছি সেটা স্পষ্ট যে সেখানে উত্থান পথন আছে এবং আমরা উত্তরণের পথে এগুচ্ছি, এটা স্পষ্ট এবং ঐতিহাসিক বাস্তবতা হচ্ছে। আর আরেকটি ঐতিহাসিক বাস্তবতা এটি যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে যে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে এবং গত ১৩ বছরের যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এবং তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের এবং সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণাটির ডিজিটাল দিবস হিসেবে গণ্য হলো ১২ই ডিসেম্বর সেটি স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণীত হবে এই ভূখণ্ড। এই ভূখণ্ড কেবল মাত্র ভূখণ্ডেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বিশ্বব্যাপী এই ভূখণ্ডের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা আগামী ৪১’ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। আর সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা চলে যাব।  সরকার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার চারটি ভিত্তি সফলভাবে বাস্তবায়নে কাজ করছে। এগুলো হচ্ছে—স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট বাংলাদেশে প্রযুক্তির মাধ্যমে সবকিছু হবে। সেখানে নাগরিকেরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে। এর মাধ্যমে সমগ্র অর্থনীতি পরিচালিত হবে। সরকার ও সমাজকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদিত হয়েছে।’  আজ এই কারণেই আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশের ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহার করছে, ১৮ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যাবহার করছে। এইগুলোই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের সর্বোত্তম উদাহরণ। আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি এবং এই এগিয়ে যাওয়া আরও তরান্বিত হবে ও আমরা যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছি সেটা সুসম্পন্ন হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্বে।

মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সরকার। বর্তমান সরকারের আমলে সাড়া দেশে বিজয় দিবস বা বিজয় মাসের যে একটা আনন্দ বিরাজ করছে সেটা আগের কোন সরকারের আমলে ছিলোনা। স্মার্ট বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে যদি কিছু বলতে চাই তাহলে আমাকে শুরুতে বলতে হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে। কারণ একটি দেশ যখন স্বাধীন থাকে তখনি সেই দেশটি তার নিজের ইচ্ছামত নিজেদেরকে গুছিয়ে তোলে। বিজয়ের ৫১ বছর পরের বাংলাদেশের চিত্র আর ৫১ বছর আগের চিত্র কিন্তু এক নয়। আগে ঢাকা শহরে কয়টা বিল্ডিঙয়ে লিফট ছিল? এখন প্রতিটা বাসায় লিফট আছে। আগে আমরা ক্যাসেটে সোনার বাংলা গান শুনতাম এখন আমরা মোবাইলে বসেই শুনতে পারছি।  সম্প্রতি ডিজিটাল দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি এই চারটি ভিত্তি সফলভাবে বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে বলে জানান। বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর পথে দৃঢ়ভাবে দাঁড় করিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য এখন জোর দেওয়া হচ্ছে। এটা অনস্বীকার্য যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই বেশ এগিয়েছে। তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে। আইসিটি-সক্ষম কর্মসংস্থানের সুযোগের জন্য দেশের তরুণদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে পারলে বিশ্বব্যাপী আউটসোর্সিং বাজারে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ হাব হয়ে উঠবে। স্মার্ট বাংলাদেশের আগে আমাদেরকে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটালাইজড হতে হবে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]