বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই হাঁটছেন শেখ হাসিনা: বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:১০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিজয় মাস বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অধ্যায়। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে মহত্তম ও গৌরবময় ঘটনা আমাদের এই বিজয় মাসে। আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশের ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহার করছে, ১৮ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যাবহার করছে। এইগুলোই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের সর্বোত্তম উদাহরণ। আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি এবং এই এগিয়ে যাওয়া আরও তরান্বিত হবে ও আমরা যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছি সেটা সুসম্পন্ন হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্বে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯২২তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য, কবি ও কলামিস্ট ড. মিল্টন বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মেহেদী হাসান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক, ভোরের পাতা সংলাপের সমন্বয়ক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ বলেন, বিজয় মাস বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অধ্যায়। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে মহত্তম ও গৌরবময় ঘটনা আমাদের এই বিজয় মাসে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একদিকে যেমন করুণ, শোকাবহ, লোমহর্ষক, তেমনি ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল ও বীরত্বপূর্ণ। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতি অর্জন করেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের এই বিজয় অর্জিত হয়। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ অর্জনের ও আত্মগৌরবের একটি দিন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজারেও ইতিবাচক হাওয়া বইছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। আর এই কারণেই রপ্তানি খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি একই সময়ে শ্রম আয় এবং রেমিট্যান্স বেড়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে অর্থনীতির পণ্ডিতগণেরাও বলেছিলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি করা অসম্ভব। সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন শেখ হাসিনা। কেবল পদ্মা সেতুই নয়, দেশি-বিদেশি অর্থায়নে তৈরি হচ্ছে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অসংখ্য মেগা প্রকল্প। একমাত্র শেখ হাসিনার জন্যই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতি আজ বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।